নিজস্ব প্রতিবেদন : দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-এর তরফ থেকে শুক্রবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর এই ভারত বনধে শামিল হয়েছে দেশের প্রায় ৪০,০০০ ব্যবসায়ী সংগঠন। ৪০,০০০ ব্যবসায়ী সংগঠন ছাড়াও শামিল হয়েছেন মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার ট্রাক মালিকরা। তবে বনধ বিরোধী বাংলায় এর প্রভাব কতটা পড়ছে?
শুক্রবার সকাল থেকে বনধের সময়সীমা শুরু হওয়ার পর মিশ্র ছবি ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়। বেশ কয়েকটি জেলায় শহরাঞ্চলের বেশিরভাগ দোকান রয়েছে সেই সকল দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ। তবে ছোট ধরনের ব্যবসায়ীরা অন্যান্য দিনের মতোই নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামাঞ্চলে কোনো প্রভাব নেই। অন্যদিকে যান চলাচলের উপর এর কোনো প্রভাব এদিন একপ্রকার লক্ষ্য করা যায়নি বললেই চলে। সরকারি থেকে বেসরকারি সমস্ত রকম প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থা অন্যান্য দিনের মতোই সচল রয়েছে।
যদিও পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের এই ধর্মঘট সফল। তাদের দাবি GST-এর ক্ষেত্রে যে আইনে আনা হয়েছে সেই আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। যাতে সকলের উপকার হবে।
[aaroporuntag]
কিন্তু কেন আজকের এই ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে? ভারত বনধের পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি দাবি দাওয়া। যেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো GST পরিকাঠামো সরলীকরণ, E-Way Bill ইত্যাদি। পাশাপাশি এই বনধে যুক্ত হয়েছে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে। সকাল থেকে এই বনধের মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা কি চেহারা নেয় তাই এখন দেখার। কারণ এই ভারত বনধ ২৪ ঘন্টার জন্য।