নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার দেশ ফের একবার বনধের মুখোমুখি হতে চলেছে। তবে এবার ভারত বনধ সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ডাকা না হলেও এই বন্ধের ডাক দিয়েছে দেশের একাধিক ব্যবসায়ী সমিতি। আগামী কালকের এই বনধ ডেকেছে মূলত দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের (CAIT)। আর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের প্রায় ৪০,০০০ ব্যবসায়ী সমিতি।
ব্যবসায়ী সমিতিগুলির তরফ থেকে বনধের সমর্থন করার পাশাপাশি মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার ট্রাক মালিকরাও এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন। যার জেরে কয়েক লক্ষ ট্রাক আগামীকাল পথে নামবে না বলে জানা যাচ্ছে। বনধের জেরে সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পাশাপাশি এর প্রভাব পড়তে পারে যান চলাচলের ক্ষেত্রেও, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এই বনধ?
ধর্মঘটকারীদের এই বনধ ডাকা হয়েছে দেশজুড়ে ক্রমশ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে, GST পরিকাঠামো নিয়ে পর্যালোচনা এবং E-Way Bill সহ একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে। তাদের অভিযোগ পরিবহন সংক্রান্ত পরিকাঠামো নিয়ে একাধিকবার সরকারকে পিটিশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। আর এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং জিএসটির পরিকাঠামো সরলীকরণের দাবি।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে এই বনধ সফল করতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দিন কয়েক ধরেই ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য। যার পরেই মনে করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রে এই বনধের প্রভাব কতটা পড়বে তা এখনই বলা না গেলেও দোকানপাট বন্ধ থাকার বিষয়টি বেশ জোরালো হতে চলেছে।