নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ভারত সরকার ভারতের দুটি টিকা কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনের ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছিল জানুয়ারি মাসে। এই দুটি টিকারই কিন্তু তখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়নি। যে কারণে অনেকের মধ্যেই নানান ধরনের সংশয় ছিল। তবে এবার কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে এবং তার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।
করোনা টিকা কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের চলাকালীন একটি রিপোর্ট জমা পড়েছিল। অন্তর্বর্তী সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল ৮১ শতাংশ ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে এই টিকার। পাশাপাশি জানানো হয়েছিল এই টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ১০০% কমে যায়। তবে এটা ছিল তৃতীয় পর্যায়ের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট।
পরবর্তীতে তৃতীয় পর্যায়ের ফাইনাল রিপোর্ট সম্প্রতি সামনে এসেছে। এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার জন্য মঙ্গলবার জমা পড়েছে ডিজিসিআই -এর বিশেষজ্ঞ কমিটির হাতে। যে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৫৮০০ জন ব্যক্তিকে নিয়ে এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করা হয়। এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষে যে ফলাফল উঠে এসেছে তাতে এই টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৭৭.৮% কার্যকর।
তবে এই টিকা এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিয়ে আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেক -এর যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি এই টিকা দ্রুত তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট সহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে পারে।
অন্যদিকে আবার এই টিকার সফলতা নিয়ে একাধিক গবেষণা ও সমীক্ষায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে এই টিকা দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা স্ট্রেনকে আটকাতে সক্ষম। এমনকি এনিয়ে খোদ আমেরিকার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফৌসিও দাবি করেছেন, এই টিকার ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ডবল মিউটেন্ট অর্থাৎ বি.১.৬১৭ মুখে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।