পেশায় তিনি অভিনেত্রী, নামও রানি। তবে ইনি মুখোপাধ্যায় নয়, রানি চট্টোপাধ্যায় (Rani Chattopadhaya)। ভোজপুরী ফিল্মের প্রথম সারির নায়িকা। ভোজপুরী ফিল্মের এই অভিনেত্রীর বয়স ৩৩। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি ৩০০ ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন। পেয়েছেন দাদা সাহেব ফালকে ফাউন্ডেশনের পুরস্কার-সহ সেরা অভিনেত্রীর বহু সম্মানও।
রানির অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ১৫ বছর বয়স থেকে। তখন ক্লাস টেনের ছাত্রী তিনি। মুম্বইয়ে থাকতেন। প্রথম ছবিতেই ভোজপুরী সুপারস্টার এবং অধুনা রাজনীতিবিদ মনোজ তিওয়ারিকে নায়ক হিসাবে পেয়েছিলেন। ছবি ‘ব্লকবাস্টার হিট’ ছিল। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় প্রথম ছবি। তার পর থেকে গত ২০ বছরে ভোজপুরী সিনেমাকে বহু হিট উপহার দিয়েছেন রানি। বস্তুত, ভোজপুরী সিনেমায় এই বিপুল জনপ্রিয়তা আর সম্মান পাওয়ার পরই বলিউডে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন রানি। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না তার।
কথিত আছে, জীবনে সত্যিকারের ভালোবাসা যেমন বারবার আসে না তেমনই বিয়েও বার বার হয় না। কিন্তু জানেন, এই অভিনেত্রী সারাজীবনে ১-২ বার নয় পুরো ৪৬৫ বার বিয়ের কনে সেজেছেন। এখানে যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন ভোজপুরী সিনেমার নায়িকা রানি চট্টোপাধ্যায়।
বহু দিন সিনেমা থেকে দূরে থাকার পর সম্প্রতি তিনি একটি ইনস্টা স্টোরি শেয়ার করেন। সেখানে বলেন তিনি জীবনে ৪০০-এর বেশিবার কনে সেজে পর্দায় অভিনয় করেছেন। ভোজপুরী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি তাঁর আগামী সিনেমা গ্যাংস্টার ইন বিহার-এও একটি দৃশ্যেও নাকি কনেরই ভূমিকায় আছেন। আশ্চর্যের কথা হলো এতবার পর্দায় কনে সাজলেও বাস্তবে বিয়ে করেননি রানি।
তবে রানির পদবি চট্টোপাধ্যায় হলেও তিনি আসলে বাঙালি নন। তাঁর আসল নাম সাবিহা শেখ। সাবিহা থেকে তাঁর রানি হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে স্বয়ং বলিউডের অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়ই। বলিউডে যখন একের পর এক হিট ছবি দিচ্ছেন এই বাঙালি কন্যা, তখনই ভোজপুরী সিনেমায় আগমন হয় নবাগতা সাবিহার। জানা যায়, ছবির চুক্তিপত্রে সই করার পর পরিচালকই নাকি বদলে দিয়েছিলেন তাঁর নাম।
