লাল্টু : ভাগ্যের চাকা কখন কার ঘোরে তা কেউ জানে না। ঠিক তেমনটাই লক্ষ্য করা গিয়েছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মী নারায়ণ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকরের ক্ষেত্রে। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের এই ভুবন বাদ্যকর ছিলেন বাদাম বিক্রেতা, আর এখন হয়েছেন সংগীতশিল্পী।
ভুবন বাদ্যকর পেশায় যখন বাদাম বিক্রেতা ছিলেন সেই সময় দীর্ঘ বছর তিনি পার করেছেন ভাঙাচোরা একচালা বাড়িতে। এরপর তিনি যখন ভাইরাল হন তারপর তার জীবনের সখসাধ পূরণ করার সময় আসে। শখ পূরণের জন্য প্রথমে একটি কেনেন চারচাকা গাড়ি। সেই গাড়ি যদিও দুর্ঘটনার পর বিক্রি করে দিয়েছেন।
তবে এর পরেই তার মধ্যে আসে ঝাঁ চকচকে একটি বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি কাজে নেমে পড়েন। বাড়ির মেঝে থেকে শুরু করে সিঁড়ি মার্বেল, টাইলস, প্লাইউড, আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন এই বাড়ি তৈরি করতে তিনি কত টাকা ব্যয় করছেন।
যে বাড়িটি তিনি তৈরি করাচ্ছেন সেই বাড়িটির কিছু অংশ সরকারি প্রকল্পের টাকায় তৈরি। বাকি অংশ তৈরি করার ক্ষেত্রে তিনি এখনো পর্যন্ত ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে আরও অনেক খরচ এখনো বাকি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে তার মুখ থেকে। তবে যেভাবে তিনি বাড়ির ডেকোরেশন করাচ্ছেন তাতে মনে করা হচ্ছে দশ লাখের বেশি খরচ হবে।
নিজের ঝাঁ-চকচকে একতলা এমন বাড়ি তৈরি করার জন্য তিনি এই অর্থ ব্যয় করছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে উপার্জন করা টাকা থেকে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে তাকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পুরস্কার স্বরূপ দেওয়া হয়েছিল সেই টাকাও তিনি এই বাড়ি তৈরীর কাজে লাগাচ্ছেন। পাশাপাশি যে গাড়িটি তিনি কিনেছিলেন সেই গাড়িটি বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছেন তাও লাগাচ্ছেন বাড়ি তৈরীর কাজে।