নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চেয়ারে বসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা এই সকল প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী ইত্যাদি। তবে এই সকল প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার মূল কারণ হলো এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে মাসে রাজ্যের মহিলাদের নগদ টাকা দেওয়া হয়। সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু বেশ কিছু উপভোক্তা রয়েছেন যাদের টাকা এখনো আটকে রয়েছে। তারা তাকিয়ে রয়েছেন কবে তাদের টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে (Lakshmir Bhandar Payment) ঢুকবে সেই দিকে।
আসলে শেষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যে সকল উপভোক্তারা লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্য ভাতা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন তারা এখনও টাকা পাননি। টাকা না পাওয়ার কারণ হিসাবে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের টাকা আটকে রাখার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এসবের পরেও এই সকল গ্রাহকরা কবে টাকা পাবেন তা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন ? Lakshmir Bhandar: বাপ বাপ বলে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা! শুধু করতে হবে একটি কাজ
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান সফরে এসেছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য। সেখানেই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন জানান, ‘নতুন করে ১৩ লক্ষ লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হবে। নতুন করে ৯ লক্ষ বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হবে। আর নতুন করে ১০ লক্ষকে কন্যাশ্রী প্রকল্প দেওয়া হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে আশার আলো দেখছেন রাজ্যের বাসিন্দারা।
অন্যদিকে যারা ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ বার্ধক্য ভাতায় আবেদন জানিয়েছিলেন, অথচ এখনো টাকা পাননি তারা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই সুবিধা পেতে শুরু করবেন বলে বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ঘোষণায় টাকা না পেয়ে যারা দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছিলেন তাদের দুশ্চিন্তা এক নিমেষে দূর হয়ে গেল।