বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ আরজি কর কান্ডের ঘটনায় তদন্তে নেমে উঠে আসছে দুর্নীতি থেকে শুরু করে একের পর এক ঘটনা। আর এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের মধ্যেও নানান অভিযোগ রয়েছে। আর সন্দীপ ঘোষেরই এবার একটি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির (Sandip Ghosh Property) খোঁজ মিলল।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তারপর দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তার নামে-বেনামে প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। ঠিক সেই রকমই সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিলাসবহুল একটি ভিলার খোঁজ মিলল। যা আবার পার্থ অর্পিতার ‘অপা’কে অতীত করে দিয়েছে। তবে পার্থ অর্পিতার অপা থেকে সন্দীপ ঘোষের ‘সঙ্গীতা-সন্দীপ ভিলা’ কিছুটা হলেও আলাদা।
কেননা শান্তিনিকেতনের অপা ছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। তবে সন্দীপ ঘোষের এই যে সঙ্গীতা সন্দীপ ভিলার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তা রয়েছে তার স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ এবং তার নামে। সন্দীপ ঘোষ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা এমন একটি ভিলার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। যেটি রয়েছে ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের নারায়নপুরে। এই বাংলোটি সন্দীপ ঘোষের নামে রয়েছে বলেই দাবি করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণপুর এলাকায় কয়েকশো বিঘা জমি কিনে সেখানেই তৈরি করা হয়েছে এমন বিলাসবহুল ভিলাটি। যে ভিলার চারিদিক রয়েছে ওই বিঘার পর বিঘা জমি। এখানে কিছু যুবক ফার্ম হাউস চালায় বলেও জানা যাচ্ছে তবে তা সম্পূর্ণভাবে সন্দীপ ঘোষের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে। যে ভিলার কথা বলা হচ্ছে সেটি বছর দুয়েক আগে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সেখানকার কেয়ারটেকার জাকির লস্করের মুখে। এর পাশাপাশি সেখানে মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে সন্দীপ ঘোষ আসতেন বলেও জানা গিয়েছে।
যদিও এখন ওই বাড়ির কেয়ারটেকার জাকির লস্করের সঙ্গে যোগাযোগ নেই সন্দীপ ঘোষের বলেও দাবি করা হচ্ছে। জাকির লস্কর জানিয়েছেন, সন্দীপ ঘোষ এখানে যখন আসছেন তখন দিনের বেলায় সারাদিন কাটিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার পর বেলা গড়াতেই বেরিয়ে যেতেন। তবে এই বাড়ি এখন তালা বন্ধ। অন্যদিকে ওই ভিলা ঘিরে যে কয়েকশ বিঘা জমি রয়েছে তা সন্দীপ ঘোষেরই কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি স্থানীয়রা। তবে তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশেই এমন পরিমাণ জমি কিনেছেন সন্দীপ ঘোষ।