Vande Bharat Sleeper: শুধুমাত্র কি ঘোষণায় তাহলে সার হলো? আদৌ সত্যি হলো না সেই খবর। সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন ট্রেনের মধ্যে অন্যতম হলো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম নিদর্শন বলা চলে ভারতীয় রেলের এই ট্রেনটিকে। তবে নতুন বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন কোনভাবেই ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে না। এই নয়া ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। সেমি-হাইস্পিড স্লিপার ট্রেনের তকমা থাকলেও গতির নিরিখে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন হতে চলেছে রাজধানী এক্সপ্রেসের সমতুল। কারণ এই মুহূর্তে রাজধানীর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।
ভারতীয় রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল রাজধানী এক্সপ্রেসের ‘বিকল্প’। বিকল্প হিসাবেই রেলমন্ত্রক চালু করছে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন(Vande Bharat Sleeper) । কিন্তু এর সর্বোচ্চ গতি কত হবে সেই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। এই দুটি ট্রেনের মধ্যে আপাতত শুধু নকশার পার্থক্য এছাড়া কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাহলে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন নিয়ে কেন এত বেশি জল্পনা? কি বলছে বিশেষজ্ঞরা?
রেলমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৬ জানুয়ারি প্রথম শুরু হতে চলেছে দিল্লি-শ্রীনগর রুটে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন (Vande Bharat Sleeper)। ট্রায়াল রান সফল হলে তারপরেই হবে যাত্রী পরিষেবা। তবে যাত্রীদের জেনে রাখা দরকার যে এই ট্রেনটি এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তাই বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দেয়নি আরডিএসও। বিভিন্ন দফায় প্রোটোটাইপ বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে।
আরও পড়ুন:Vande Bharat Schedule: নতুন বর্ষের শুরুতেই বদলে যাচ্ছে বন্দে ভারতের সময়সূচি, দেখে নিন একনজরে
এর আগে অবশ্য রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বন্দে ভারত চেয়ার কার ট্রেনের থেকেও স্লিপার ভার্সনের সর্বোচ্চ গতি আরো বেশি হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছিলেন যে, সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে চলেছে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন। কিন্তু ট্রেনটি রাখতে পারেনি সেই দাবি।
ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতি বেঁধে দেওয়ার পেছনে আসল কারণটা কি? এই সিদ্ধান্তের মূলে আসল কারণ হলো ওজন বৃদ্ধি। বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের (Vande Bharat Sleeper) যুক্ত হতে চলেছে স্লিপার বার্থ। অন্যান্য দূরপাল্লার ট্রেনে ওয়াটার ক্যাপাসিটি যা তার থেকে এই ট্রেনে অনেক বেশি। সেই কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে ট্রেনের ওজন। ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে গতির ওপর।