Big Investment: মা আসছেন, সাথে নিয়ে আসছেন বড় বিনিয়োগ, বাড়বে কাজের সুযোগ। সারাদেশ জুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। একাধিক উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্যস্ত প্রায় প্রত্যেকটা রাজ্য। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের। মা আসবেন তার বাপের বাড়ি। এ বছর সাথে নিয়ে আসছেন বাংলার জন্য বড় বিনিয়োগ (Big Investment)। দুর্গাপূজার প্রাক্কালে রাজ্যে এলো বড় সুখবর। কলকাতা ভিত্তিক ২ টি সংস্থার মিলিত উদ্যোগে আগামী দু বছরের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে বাংলায়। বাড়বে কাজের সুযোগ। এই খবর খুশির হাওয়া বয়ে নিয়ে এলো সমগ্র রাজ্যবাসীর জন্য।
পুজোর আগে বড় বিনিয়োগের (Big Investment) খবর এসেছে রাজ্যে। তাও আবার কলকাতা ভিত্তিক দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে। কলকাতা ভিত্তিক কোম্পানি এলেনবারি গ্যাসেস এবং জিন্ডাল ইন্ডিয়া লিমিটেড আগামী ২ বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১৭০০ কোটির বিনিয়োগ নিয়ে আসতে চলেছে। ভারতের সবথেকে বড় গ্যাস কোম্পানি হল এলেনবারি। সংস্থাটি মূলত কলকাতা ভিত্তিক। এই সংস্থার পক্ষ থেকে আগামী ২ বছরের মধ্যে ২০০ কোটিরও বেশি টাকার বিনিয়োগ করার ঘোষণা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: চিনের চিন্তা বাড়িয়ে কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরি করবে মোদি সরকার, বাড়বে কর্মসংস্থান
দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে হওয়া এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে রাজ্যবাসীর মনের খুশির হাওয়া বইয়ে দিয়েছে। বাংলায় বর্তমানে বেকারত্বের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে বড় বড় বিনিয়োগই (Big Investment) একমাত্র আশার আলো জাগাতে পারে রাজ্যবাসীর মনে। এই পরিস্থিতিতে ১৭০০ কোটির বিনিয়োগের ঘোষণা রাজ্যবাসীর কাছে অনেক বড় একটি প্রাপ্তি বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এলেনবারি গ্যাসেসের তরফ থেকে তাদের ব্যবসা আরো সম্প্রসারিত করার ঘোষণা করা হয়েছে। তারা তাদের উলুবেরিয়া ইউনিটকে আরো বড় করে তৈরি করতে চাইছে। তার জন্যই করা হবে এই বিনিয়োগ।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি দিন ২২০ ইউনিট তৈরি করার উদ্যোগ নিচ্ছে সংস্থা। এরপর আলাদা আলাদা ইউনিটগুলিকেও আরো শক্তিশালী করে তৈরি করা হবে। এই ইউনিট তৈরি করার উদ্দেশ্যে ১৯০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে শুধুমাত্র জমি সংগ্রহ করার জন্য।
জিন্ডাল ইন্ডিয়াও তাদের ব্যবসা বাড়ানোর কথা ভাবছে। বর্তমানে যে পরিমাণ উৎপাদন করা হয় তার থেকে ৬০ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাইছে সংস্থা। আর সেই কারণে করতে চলেছে বড় রকমের বিনিয়োগ (Big Investment)। প্রতিবছর এক মিলিয়ন টন উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সংস্থা। সংস্থার হাওড়ার রানিহাটি ইউনিটটিকে সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানা গেছে। কোটেড ফ্ল্যাট প্রোডাক্ট, সোলার এবং হোম অ্যাপলাইন্সের উৎপাদন বৃদ্ধিতেও জোর দেবে সংস্থা।