নিজস্ব প্রতিবেদন : রেমালের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে যে অসহ্য গরমের শুরু হয়েছিল, সেই অসহ্য গরম শেষ হয় বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ঝড়-বৃষ্টি অসহ্য গরমকে উধাও করে দেয়। তবে একেবারেই যে অসহ্য গরম উধাও হয়ে গিয়েছে তা নয়, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। আর এই মুহূর্তেই বর্ষা (Monsoon Entered in WB) নিয়ে দারুণ সুখবর মিললো।
কেরলের হাত ধরে দেশের মূল ভূখণ্ডে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় বর্ষার আগমন হয়েছে তা আমরা অধিকাংশরাই জানতে পেরেছি। কিন্তু কেরলে বর্ষার প্রবেশের পরই যে বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করে যাবে এমনটা ভাবনাতীত ছিল। বিষয়টি ভাবনার বাইরে হলেও শুক্রবার বাংলার বেশ কিছু অংশে বর্ষার প্রবেশ হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বছর জুন মাসের ৭ তারিখ নাগাদ উত্তরবঙ্গের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার আগমন হয়। রাজ্যে বর্ষার আগমন হয়ে থাকে জলপাইগুড়ির হাত ধরে। কিন্তু এই বছর মে মাসেই পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন হয়ে গেল। ৩১ মে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন ? Digital Arrest: বাজারে এলো ডিজিটাল অ্যারেস্ট! পুরো ঘটনা না জানলে পকেট ফাঁকা হতে সময় লাগবে না
মে মাসে শেষ বার রাজ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছিল ২০০৯ সালে। সেবার ২৫ মে প্রবেশ করেছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তার আগে ২০০৬ এবং ২০০৭ সালেও মে মাসে রাজ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালের পর থেকে আর কোনো বছর মে মাসে তো দূরের কথা এমন কি জুন মাসের নির্ধারিত সময়েও অনেক বছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু রাজ্যে প্রবেশ করতে গাছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে।
মূলত এই বছর ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাড়াতাড়ি বর্ষা ঢোকার ক্ষেত্রে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি এই বছর বর্ষা ঢুকলো দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও। আর এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন হতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও দক্ষিণবঙ্গে এখনো পর্যন্ত বর্ষা ঢুকতে আরও দিন কয়েক সময় লাগবে বলেই জানা যাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে।