Bike Mileage: এই টোটকায় বাইক চালান, হু হু করে বাড়বে মাইলেজ

Increase your mileage of bike: যেসব মানুষেরা বাইক মাইলেজ নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাদের অবশ্যই কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত। যদিও একাধিকবার সার্ভিসিং করার পর, এমনকি অতি সযত্নে রেখেও বাইকের বেশি মাইলেজ তুলতে পারেন না বাইকাররা। অনেকেই খুব চিন্তায় থাকেন তাদের বাইকের কম জ্বালানি দক্ষতা নিয়ে। বাইক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রাইডারদের কয়েকটি ভুলের জন্য এই সমস্যা তৈরি হয়।

পুরনো কিছু ধারনায় বিশ্বাস করে বাইক চালান তারা, এমনকি এই অভ্যাস তারা নতুন বাইকের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করে। ফলে তারা কখনোই সর্বোচ্চ মাইলেজ পায় না। সামান্য পথ গেলেই তেল শেষ হয়ে যায়। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে এই ঘাটতির পিছনে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, রয়েছে বাইক চালকের কিছু ভুল। অর্থাৎ, আপনি যে গতিতে বাইক চালান তার উপরও অনেকটা নির্ভর করে মাইলেজ (Bike Mileage)। এবার জেনে নিন টু হুইলারের জ্বালানি দক্ষতা কোন গতিতে চালানো উচিত।

আপনি যদি মোটরবাইকে ভালো মাইলেজ পেতে চান তাহলে উচ্চ গতিতে বাইক চালানোর প্রয়োজন নেই। অভিজ্ঞ বাইকারদের মতে, ইঞ্জিন যদি একটি ফিক্সড RPM এ তে দৌড়ায় তাহলে ভালো মাইলেজ পাওয়া যায়। যদি আপনার মোটরসাইকেলের গতি যদি খুব কম হয় তাহলে তেল খরচ কিন্তু বেশি হবে। আবার যদি RPM বেশি থাকে তখন আপনার বাইকের গতিও বেড়ে যায়। আপনার তেল খরচও কিন্তু বাড়তে শুরু করে। ফলস্বরূপ মাইলেজ (Bike Mileage) কমতে শুরু করে, এবং সঠিক গতি বজায় রাখা উচিত।

আপনি মোটরবাইক চালানোর সময় নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন যে, স্পিডোমিটারে ইকোনমি স্পিড লেখা আছে। এই স্পিড লিমিট কিন্তু একটু সবুজ বর্ডারে লেখা থাকে। অনেকেই মনে করেন যে, ৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে টু হুইলার অর্থাৎ মোটরসাইকেল চালালে মাইলেজ ভালো পাওয়া যাবে এবং তেল কম লাগে। বাইকের এই গতিতে বাইক থেকে সেরা মাইলেজ পাওয়া যায়। যদি আপনি মোটরসাইকেল নিয়ে যদি লং ট্রিপে যান তাহলে ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতি বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

এমনকি টু হুইলার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও এই গতিতে ভালো মাইলেজ পাওয়ার দাবি করে। যদি আপনি গতি যদি বাড়াতে থাকেন এবং ৭০ এ পৌঁছে যায় তাহলেই সমস্যা। হাইওয়েতে বেশিরভাগ বাইক ঘন্টা প্রতি ৬০ থেকে ৭০ কিমি গতিতে চলে। গতি বাড়ালেই চাপ পড়বে ইঞ্জিন এর ওপর। যদি ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়তে থাকে তাহলে তেল খরচও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। এটাই কিন্তু মাইলেজ কমার ইঙ্গিত। উচ্চ গতিতে বাইক চালিয়ে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও কিন্তু জ্বালানি দক্ষতা ভালো পাওয়া যাবে না। তাই অবশ্যই নির্দিষ্ট RPM বজায় রেখেই বাইক চালানো উচিত।