নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ইতি টেনে সম্প্রতি বিল গেটস এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন। আর এই ঘোষণার সাথে সাথেই বিশ্বজুড়ে একটি প্রশ্নই ঘুরতে শুরু করেছে, কি এমন ঘটলো যে এই দম্পতি বিবাহ-বিচ্ছেদের পথ বেছে নিলেন?
কারণ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্র দাবি করেছে তাদের দুজনের মধ্যে ২০১৯ সাল থেকেই সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। ওই বছর অক্টোবর মাসে মেলিন্ডাকে আইনজীবীর সাথে বৈঠক করতে দেখা যায়। আর এরপর চলতি বছর ৩ মে তাদের দুজনের ২৭ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটে।
মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে দাবি করেছে, যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিলের যোগাযোগ ছিল। আর এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি মেলিন্ডা। জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো শিশু-কিশোরদের পাচার করা এবং যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করা। এমনকি যৌন নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিল গেটসের সাথে জেফরি এপস্টেইনের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। আর তাদের এই সম্পর্কের কথা ২০১৩ সাল থেকেই জানতেন মেলিন্ডা। এমনকি একাধিকবার তাদের নিউইয়র্কের বাড়িতে দেখা গিয়েছে। আর এই বিষয়টি নিয়ে মেলিন্ডা মোটেই স্বস্তি বোধ করতেন না। তার পরেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। যদিও জেফরি এপস্টেইনের ২০১৯ সালে জেলে বিচারাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানা যায়।
Melinda Gates had discussions with divorce lawyers in October 2019 around when Bill Gates’s ties to Jeffrey Epstein became public
https://t.co/UVwx47hdDG— Jason Leopold (@JasonLeopold) May 9, 2021
[aaroporuntag]
অন্যদিকে বিল গেটসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জেফরি এপস্টেইনের সাথে বিল গেটসের যোগাযোগ কেবলমাত্র আর্থিক কারণেই ছিল। আর এই যোগাযোগের কারণই বিশ্বের অন্যতম ধনী দম্পতির মধ্যে ফাটলের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে দাবি করা হয়েছে মার্কিন ওই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সংবাদপত্রে।