টিন আর বাঁশ দিয়ে সিল করা হলো দুবরাজপুরের নায়েক পাড়া

লাল্টু : দুবরাজপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৮ বছর বয়সী এক যুবক করোনা আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার সকালে রিপোর্ট জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় শহরজুড়ে। করোনা আক্রান্তকে বোলপুর কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ও বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের বক্রেশ্বর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার ওই যুবকের পাড়া টিন এবং বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। ওই এলাকা অর্থাৎ দুবরাজপুর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নায়েক পাড়া এখন কনটেইনমেন্ট জোন।

দুবরাজপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ওই এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কলকাতায় কস্টিউম ডিজাইনের কাজ করেন। গত ৯ই জুলাই সে কলকাতা থেকে দুবরাজপুর আসেন নিজের বাড়িতে। ১১ তারিখে তার লালারস নেওয়া হয়। ওই পরিবারের সদস্যরা এলাকায় কার কার সংস্পর্শে এসেছে তাও খুঁজে দেখছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ওই এলাকা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কন্টেনমেইনন্ট জোন ঘোষণা হওয়ার পর আপাতত চলবে লকডাউন।

অন্যান্য জায়গার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় কেবলমাত্র বাঁশ দিয়ে ঘেরা হচ্ছে। যার ফলে অনেকেই প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে বাঁশ টপকে যাতায়াত করছেন। তার জন্য এখানে অনেক পাকাপোক্ত ঘেরা হয়েছে, সেখানে শুধু বাঁশি নয় সঙ্গে টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। যাতে বাইরের লোক ভেতরে আসতে না পারেন আর ভেতরে লোক বাইরে যেতে না পারেন। একটা মাছি গলানোর জায়গা নেই দুবরাজপুরের ওই পাড়ায়। নজরদারি রাখার জন্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়ার জন্য রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়াররা।

দুবরাজপুর শহরের তৃণমূল শহর সভাপতি পীযূষ পান্ডে জানান, “জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের ভূমিকা খুবই প্রশংসনীয়।” শুধু এলাকার তৃণমূল শহর সভাপতি এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন এমনটা নয়, পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের এমন কড়া পদক্ষেপে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।