ডেউচা-পাঁচামী প্রস্তাবিত কয়লা খনি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা জেলাশাসকের

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাঢ় বাংলার বীরভূম বিপুল খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ জন্মলগ্ন থেকেই। বর্তমানে ধীরে ধীরে সেই সকল খনিজ সম্পদের খোঁজ মিলছে এবং তা উত্তোলণের বন্দোবস্ত চলছে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে। এমনই এক বিপুল খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার রয়েছে মহঃবাজার ব্লকের ডেউচা, পাঁচামি, দেওয়ানগঞ্জ, হরিণসিঙ্গা এবং তার আশপাশের গ্রামের মাটির নীচে। এই এলাকায় কমকরে ২১০ কোটি ২০ লক্ষ টন উন্নত মানের কয়লা মজুদ রয়েছে। আর এই সকল কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব ভারত সরকার দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। আর সেই মোতাবেক রাজ্য সরকার কিভাবে প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যায় তার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করছে।

Advertisements

ডেউচা-পাঁচামী প্রস্তাবিত কয়লা খনির বাস্তবায়নে মূল সমস্যা হলো এখানকার পুনর্বাসন প্যাকেজ। এই এলাকায় কমকরে ৫ হাজার পরিবারের বসবাস। যাদের মধ্যে অধিকাংশই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। এছাড়াও এই এলাকায় অন্যান্য স্থানে বসবাসকারীদের জায়গা রয়েছে বলেও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন এখানকার আদি বাসিন্দাদের রয়েছে নিজস্ব কিছু দাবি দাওয়া।

Advertisements

আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলাশাসক ডঃ বিজয় ভারতী সাংবাদিক বৈঠক করে আগামী দিনের পরিকল্পনা সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন। তিনি জানিয়েছেন, “এই কয়লাখনির কাজ শুরু করার পূর্বে এলাকার বাসিন্দাদের আর্থ সামাজিক সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পত্তি, আয়ের উৎস পরিমাণ, ইত্যাদি সহ সকলের সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ লিপিবদ্ধ করা। সমীক্ষার ভিত্তিতে উঠে আসা সংকলিত তথা এবং পরামর্শের উপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকার একটি সুসংহত পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করতে সমর্থ হবে।”

Advertisements

পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, “সকলকে নিশ্চিত করা হচ্ছে যে রাজ্য সরকার আলােচনা-পূর্বক সহমতের ভিত্তিতেই কয়লা শিল্পাঞ্চলের কাজ শুরু করতে আগ্রহী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে কোনাে মতামত চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যদি কারাে কোনাে অসন্তোষ থাকে, তা নিরসন করার জন্য ত্রিস্তরীয় শুনানী ও মীমাংসার ব্যবস্থা থাকবে।”

এই প্রকল্পের অর্থনৈতিক উন্নতি প্রসঙ্গে জেলাশাসক এদিন বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সমগ্র এলাকার ও রাজ্যের সর্বাঙ্গীন অর্থিক উন্নতি ঘটবে এবং বিপুল কর্মসংস্থান হবে। রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে সকলের আন্তরিক এবং সক্রিয় সহযােগিতা একান্ত কাম্য।”

Advertisements