নিজস্ব প্রতিবেদন : টানা তিনবারের সাংসদ হিসাবে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করা শতাব্দী রায়ও (Satabdi Roy) এবার নিজের মেজাজ ঠিক রাখতে পারলেন না। ভোটারের প্রশ্নে রীতিমতো মেজাজ ছাড়িয়ে তাকে ‘ইডিয়ট’ বলে ফেললেন। ঘটনাটি বুধবার ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত বালিজুড়িতে।
ঠান্ডা মেজাজের শতাব্দী রায়কে কখনো জেলার বাসিন্দারা এইভাবে দেখেননি। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, কেন এদিন তিনি এইভাবে মেজাজ হারিয়ে (Angry Satabdi Roy) ফেললেন এবং ওই স্থানীয় বাসিন্দাকে ইডিয়ট বললেন? এদিন শতাব্দী রায় যখন খগেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তখনই সুনীল মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার প্রশ্নে শতাব্দী রায়।
সুনীল মণ্ডল নামে ওই স্থানীয় বাসিন্দার থেকে জানা গিয়েছে, তিনি নাকি শতাব্দী রায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি (শতাব্দী রায়) যে সকল কাজ করেছেন তার প্রচার নেই কেন? তবে তার পুরো প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই তাকে এইভাবে আক্রমণ করেন শতাব্দী রায় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি নাকি দাবি করছেন, ট্যাঙ্কের জন্য যে টাকা দেওয়া হয়েছিল সেই টাকা রাতের অন্ধকারে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এমনটা তো হয় না। এই টাকা ব্যাংক টু ব্যাংক পাঠানো হয়ে থাকে। শতাব্দী রায় দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তি তার কাছে পড়ে এসেছিলেন আর তিনিও তার সঙ্গে আবার পরে কথা বলবেন।
তবে এই ঘটনাকে নিয়ে বিরোধীরা রীতিমতো খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিদায় সাংসদকে। কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ জানিয়েছেন, ভোটাররা যা যা প্রশ্ন করবে তার উত্তর দেওয়া আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। তিনি শতাব্দী রায়ের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বীরভূমের মানুষেরা সত্যিই বোকা। কেননা বোকা না হলে শতাব্দি রায়ের মতো প্রার্থীকে তিন তিনবার জিতিয়ে কেউ লোকসভায় পাঠায়!
অন্যদিকে এই ঘটনাকে নিয়ে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা কটাক্ষ করে বলেছেন, “তোমার দেখা নাইরে দিদি তোমার দেখা নাই।” শতাব্দী রায়ের মেজাজই নেই বলেও তিনি দাবী করেছেন। তার বক্তব্য, মেজাজ হলো ভালো কাজের জন্য। কিন্তু শতাব্দি রায় ১৫ বছর ধরে সাংসদ হলেও তার দেখা পান না জেলার মানুষরা। ভোটারদের অধিকার কাজ নিয়ে প্রশ্ন করার।