অমরনাথ দত্ত : বাংলাদেশ থেকে ৪ দুষ্কৃতীকে হায়ার করে নিয়ে আসা হয়েছিল বীরভূমে। ছক ছিল বীরভূমের বড় কোনো এক রাজনৈতিক নেতাকে খুন করার। আর এই খবর গোপন সূত্রে পৌঁছায় বীরভূম পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে বীরভূম পুলিশের তরফ থেকে অতর্কিতে হানা দিয়ে ওই চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় স্থানীয় আরও দুজনকে। ঘটনায় মোট ৬ জন গ্রেফতার। আর এই ঘটনার তদন্তভার খুব তাড়াতাড়ি STF কে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত তালতোর গ্রামের একটি বাড়িতে ওই চার বাংলাদেশী দুষ্কৃতী সহ আরও দুজন বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক নিয়ে জমা হয়েছিল। এই চার বাংলাদেশী দুষ্কৃতী সহ স্থানীয় আরও দুজন জড়ো হয়েছিলেন বীরভূমের কোন এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে খুন করার জন্য। তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল সুপারি কিলার হিসেবে। গোপন সূত্রে ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ ওই দুষ্কৃতী গ্রেফতার করে। সোমবার ওই দুষ্কৃতীদের বোলপুর আদালতে তোলা হবে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত ভার দেওয়া হবে
STF কে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো বীরভূমের বড় এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে খুন করার জন্য কে বা কারা এই দুষ্কৃতীদের সুপারি কিলার হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন? সে সম্পর্কে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মেদিনীপুরের জেল থেকে কোন এক আসামি এই সকল দুষ্কৃতীদের টাকা পয়সা দিয়ে সুপারি কিলার হিসেবে বীরভূমে নিয়ে আসেন। তবে এই বড়োসড়ো চক্রান্তের ঘটনা নষ্ট করে দেয় বীরভূম জেলা পুলিশ। এমন চক্রান্ত নষ্ট করে দেওয়া বীরভূম জেলা পুলিশের বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পরশুদিন এবং কাল এই দুদিন মিলে এই সকল দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আজ তাদের বোলপুর আদালতে তোলার পাশাপাশি কলকাতার STF কে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে এই দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। খতিয়ে দেখা হবে এই দুষ্কৃতীদের সাথে কেবলমাত্র সুপারি কিলারের মত যোগ রয়েছে নাকি কোন জঙ্গি যোগও রয়েছে।