লাল্টু : সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বীরভূমের যুবসমাজের একাংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। যুবসমাজকে এই মাদকাসক্তি থেকে উদ্ধার করার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশের প্রয়াসও চলছে অনবরত। মাদককারবারীদের ধরপাকড় করতে জেলা পুলিশকে বিভিন্ন সময় অভিযান চালাতে লক্ষ্য করা যায় এবং সেই অভিযানে সফলতা আসে। তবে রবিবার যে পরিমাণ মাদকদ্রব্য বীরভূম থেকে উদ্ধার হল তা এর আগে কখনো হয়নি।
রবিবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন ও সিআই মাধবচন্দ্র মণ্ডল, ডিএসপি ক্রাইম মোহতাসীন আক্তার এবং অ্যাডিশনাল এসপি বোলপুর সুরজিত দে’র তৎপরতায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। যে ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এই ব্যক্তির থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার হেরোইন, আফিম এবং পপি ডাস্ট উদ্ধার করা হয়।
ধৃত ব্যক্তির নাম বদরুজ্জামাল (৩৪)। এই ব্যক্তিকে রবিবার দুবরাজপুরের দরবেশ মোড় থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতার করার সময় ওই ব্যক্তি মোটরবাইকে ১.৯ কেজি হেরোইন, ১.৫ কেজি আফিম এবং ৩.১ কেজি পপি ডাস্ট নিয়ে আসছিলেন। হাতেনাতে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলার পাশাপাশি ওই বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য এবং তার মোটরবাইকটি আটক করা হয়। আগামীকাল ওই ব্যক্তিকে আদালতে পেশ করা হবে।
বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে এই বড় সাফল্যের পর বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, “গত চার মাস ধরে আমাদের কাছে খবর ছিল ওই ব্যক্তি এইভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ে বীরভূমে কারবার করছেন। তারপর থেকেই আমরা তাকে ধরার জন্য টিম তৈরি করি। গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম শনিবার ওই ব্যক্তি জেলায় প্রবেশ করবেন। কিন্তু যাই হোক শনিবার তিনি প্রবেশ করেননি, রবিবার প্রবেশ করতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, “পুলিশ চারটি টিম তৈরি করে ওই ব্যক্তির জন্য ওঁৎ পেতে বসেছিল। এরপর এদিন দুপুর বেলা ওই ব্যক্তি দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত দরবেশ মোড় এলাকায় এলেই তাকে হাতেনাতে মাদকদ্রব্য সহ গ্রেপ্তার করা হয়।”
তবে এই বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য কোথায় থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল অথবা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, নাকি তা জেলার বিভিন্ন মাদক কারবারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আনা হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্ত করার পর জানা যাবে।’