প্রতারণার বদলা অপহরণ, পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার অপহৃত, গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতারণার প্রতিশোধ নিতে অপহরণের ছক! সিনেমার মতো অঙ্ক কষে প্রতারিত ব্যক্তি তিনজন পুলিশ কর্মী ও একজন বিএসএফ জওয়ানকে অপহরণের ছক কষেন। সেইমতো বোলেরো গাড়িতে করে এসে এমাসের ১০ তারিখ কলকাতার চাঁদনী চকে ই-মলের সামনে থেকে দিনের আলোয় অপহরণ করে প্রতারককে।

জানা গিয়েছে, সৌমেন বসু নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল বেকার যুবকদের কাছ থেকে। কিন্তু সেই চাকরি পায়নি বেকার যুবকরা আর টাকাও ফেরত দেয়নি সৌমেন বসু। এমনই এক প্রতারিত ব্যক্তি হলেন অভিজিৎ ঘোষ।

অভিজিৎ ঘোষের দাবি, সৌমেনকে তিনি এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন চাকরির জন্য। চাকরি হয়নি, বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা ফেরত দেয়নি সে। তাই তাকে অপহরণের ছক কষে। অপহরণ করতে সঙ্গে নেন তিনজন পুলিশ কর্মী ও এক বিএসএফ জওয়ানকে।

অভিজিৎ ঘোষের সাথে যে সকল পুলিশ কর্মী এবং বিএসএফ যেমন ছিলেন তাঁরা হলেন শ্যামল মণ্ডল, জ়াকির খান, দুজনেই কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের কর্মী। অন্য জন মহঃ হানিফ রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী। এই দলে থাকা বিএসএফ জওয়ান আমির হোসেন ছাড়াও ছিলেন মনজারুল হক নামে অন্য এক ব্যক্তি। ছিলেন বোলেরো গাড়ির ড্রাইভার শেখ সুলেমন। অভিজিৎ ঘোষ ও শ্যামল মণ্ডল মালদার ইংলিশ বাজারের বাসিন্দা। জাকির খান, মহঃ হানিফ, মনজারুল হক, আমির হুসেনের বাড়ি বীরভূমের লাভপুর থানার দরবারপুর গ্রামে।

কলকাতা পুলিশ অপহরণের সাথে যুক্ত থাকা ওই বোলেরো গাড়িটির নাম্বার দেখে বীরভূমের নাম্বার বুঝে তড়িঘড়ি বীরভূম পুলিশকে ফোন করে। তারপর বীরভূম পুলিশ রাতভর নাকা চেকিং করে অপহৃত সৌমেনকে উদ্ধার করে। ঘটনায় যুক্ত থাকার কারণে তিন পুলিশকর্মী ও এক বিএসএফ জওয়ান সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে লাভপুর থানার পুলিশ, আটক হয় গাড়িটি। পরে তাদের বউবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।