হিমাদ্রি মণ্ডল : গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর বেলা বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের অন্তর্গত বাবুইজোড় গ্রাম পঞ্চায়েতকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি ছোঁড়ে। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করে। যার পরেই কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল বীরভূম জেলা পুলিশকে। ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই গ্রেপ্তার করা হল এলাকার দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬ জন।
এই খয়রাশোল এলাকায় তৃণমূলের যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে সেই দুই গোষ্ঠীর এক গোষ্ঠী পেশায় শিক্ষক আব্দুর রহমানের গোষ্ঠী এবং অন্য আরেক গোষ্ঠী হল আব্দুল কাদেরির গোষ্ঠী। ইনিও একজন পেশায় শিক্ষক। তবে দুজনেই সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত। আব্দুর রহমান বলেন এলাকার শাসকদলের অঞ্চল সভাপতি এবং উজ্জ্বল কাদেরী হলেন এলাকার ব্লক কমিটির মেম্বার।
আব্দুর রহমানকে রাজনগর থানার পুলিশ গতকাল পুরাতন একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে উজ্জ্বল কাদেরীকে সিউড়ি থানার পুলিশ পুরাতন একটি মামলায় সিউড়ির সুভাষপল্লীর ঘোষপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার দু’জনকেই আদালতে তোলা হবে।
একদা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ২০১৮ সালে উজ্জ্বল কাদেরীকে বোমা তৈরীর কারিগর বলে ধমক দিয়েছিলেন। যার পরেই তাকে একাধিক মামলায় বীরভূম জেলা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যদিও এর পরেই আবার অনুব্রত মণ্ডলকে দেখা গিয়েছিল ওই তৃণমূল নেতাকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য সরকারি আইনজীবীকে নির্দেশ দিতে। তারপরে তিনি জামিনও পান। এরপর থেকেই তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। কিন্তু গত কালকের ঘটনার পর এই দুই গোষ্ঠীর দিকে আঙ্গুল উঠতে থাকে। যার পরেই পুলিশি তৎপরতা শুরু হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয়।
যদিও গ্রেপ্তার হওয়ার পর উজ্জল কাদেরী জানিয়েছেন, “কী জন্য আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমি জানিনা। আমার কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। দল আমার পাশে আছে, দল বুঝবে।”