অমরনাথ দত্ত ও লাল্টু : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বের পাশাপাশি ভাবাচ্ছে ভারতকেও। আর এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে লকডাউন থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তো সাধারণ মানুষকে কিনতেই হবে। সে কারণে লকডাউনের এই সময়সীমায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর সেই সকল দোকানে জিনিসপত্র কেনার জন্য সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়। আর এই জিনিসপত্র কেনার সময় কেউ সামাজিক দূরত্ব পালন করছেন, আবার কেউ কেউ না। তবে এবার তা আর হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবার সচেষ্ট বীরভূম পুলিশ।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে যখন প্রায় জনশূন্য বীরভূমের সমস্ত জায়গা ঠিক তখন বীরভূম পুলিশ চক দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলির সামনে আসা খরিদ্দারদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য চিহ্নিত করলো। বোলপুর, দুবরাজপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট সর্বত্রই এই পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে বীরভূম পুলিশকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলির সামনে এই চক দিয়ে চিহ্নিত করার কাজ করা হয়েছে। এখন কেউ দোকানে জিনিসপত্র কিনতে এলে তাকে ওই চক দিয়ে চিহ্নিত করা গন্ডিতেই দাঁড়াতে হবে।দোকানদারদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়, যেন খরিদ্দার এসে চকের বাইরে দাঁড়িয়ে একে অপরের গায়ে গায়ে লেগে না যায়।
গত সোমবার বিকাল ৫ টার পর থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের পর বুধবার প্রায় জনশূন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। যেসকল মানুষেরা এই লকডাউনের নিয়ম না মেনে বাইরে বেড়াচ্ছেন তাদের বাড়িতে ঢোকানোর জন্য সচেষ্ট বীরভূম পুলিশ। বীরভূমের প্রতিটি জায়গায় টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশ। বলে রাখা ভালো, লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য ইতিমধ্যেই জেলায় গ্রেপ্তার ২২।