লাল্টু : বীরভূমের একাধিক থানায় মোটরবাইক চুরির অভিযোগ পেয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্ত শুরু করার সাথে সাথেই একাধিক জায়গায় অভিযান শুরু হয়। দফায় দফায় গত জুন মাসে মোট ৩৬টি চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধার করতে সক্ষম হয় জেলা পুলিশ। এই ৩৬টি চুরি যাওয়া মোটর বাইকের মধ্যে অধিকাংশ মোটরবাইকই উদ্ধার হয় দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত এলাকায়। আর এবার সেই সকল মোটরবাইক আসল মালিকদের হাতে ফেরত দেওয়ার পালা।
নিয়ম অনুসারে এই সকল চুরি যাওয়া মোটরবাইক নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বীরভূম জেলা পুলিশ। আদালত সমস্ত দিক পর্যবেক্ষণ করে আপাতত ১৫টি চুরি যাওয়া মোটরবাইক আসল মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুমতি দেয়। আদালতের অনুমতি পেয়ে সোমবার বীরভূম জেলা পুলিশ এই ১৫টি উদ্ধার হওয়া চুরি যাওয়া মোটরবাইক আসল মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিলেন।
এদিন বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে দুবরাজপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় একটি রক্তদান শিবির এবং দুঃস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করার কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেই কর্মসূচি অনুষ্ঠানে ১৫ জন আসল মালিককে তাদের চুরি যাওয়া মোটরবাইক ফিরিয়ে দিল বীরভূম জেলা পুলিশ। রক্তদান শিবির, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং চুরি যাওয়া মোটরবাইক আসল মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী।
দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত রবীন্দ্রসদনে এদিনের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি জানান, “আদালতের নির্দেশ পেয়ে আমরা আজ যে সকল চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধার হয়েছিল তার মধ্যে ১৫টি মোটরবাইক আসল মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিলাম। এর পাশাপাশি বর্তমান করোনাকালে রক্ত সংকটের কথা মাথায় রেখে রক্তদান শিবির এবং দুঃস্থ পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে তাদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করার কর্মসূচি গ্রহণ করলাম।”
এদিন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি বোলপুর, ডিএসপি ক্রাইম, দুবরাজপুরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিরুদ্ধ রায়, বীরভূমের পাবলিক প্রসিকিউটর মলয় মুখোপাধ্যায়, দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষ সেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, দুবরাজপুর পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য মির্জা সৌকত আলী সহ অন্যান্যরা।