Bishnupur-Tarakeswar Rail Line: হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীদের জন্য এক চমকপ্রদ খবর এসেছে! বহু বছরের অপেক্ষার পর, বিষ্ণুপুর থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে ময়নাপুর থেকে বড় গোপীনাথপুর স্টেশন পর্যন্ত সিআরএস (Commission of Railway Safety) পরীক্ষা শুরু হবে। এটি প্রকল্পটির প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, এবং একবার এই পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হলে ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি শুরু হবে। যদিও ট্রেন চলাচল (Bishnupur-Tarakeswar Rail Line) শুরু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে এই আপডেটটি সকল যাত্রীদের জন্য একটি দারুণ সুখবর।
বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেললাইন (Bishnupur-Tarakeswar Rail Line) প্রকল্পটি বেশ কিছু বছর ধরে বিভিন্ন কারণে বন্ধ ছিল এবং অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যে দিয়ে এটি এগিয়েছে। তবে অবশেষে, পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে যারা বিষ্ণুপুর এবং তারকেশ্বরের মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একবার এই রেললাইন চালু হলে, এই দুটি ঐতিহাসিক স্থান ও ধর্মীয় কেন্দ্রের মধ্যে যাতায়াত অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে।
এছাড়াও, এই রেলপথের মাধ্যমে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটি স্টেশনগুলিতেও স্টপেজ থাকবে, যা স্থানীয় যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে। এসব জায়গাগুলি ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক দিক থেকেও বেশ পরিচিত, তাই এখানে স্টপেজ রাখা হলে যাত্রীরা আরও সুবিধা পাবেন। এটি শুধু যাত্রীদের জন্য একটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা হবে না, বরং স্থানীয় ব্যবসা এবং পর্যটন ক্ষেত্রেরও উন্নতি ঘটাবে।
তবে, সিআরএস পরীক্ষা শুরু হলেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে না। একটি মন্তব্যে বলা হয়েছে, “এটি শুধুমাত্র পরিদর্শন, পরে রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” ফলে, যাত্রীদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। ২০২৫ সালের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে এমন আশাও কিছু যাত্রী প্রকাশ করেছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে একটি আশা জাগিয়েছে।
পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা যত দ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পটির (Bishnupur-Tarakeswar Rail Line) কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে। একবার পুরো রেললাইন চালু হলে, বিষ্ণুপুর থেকে তারকেশ্বর এবং তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার সময় অনেক কমে যাবে। এই রেলপথের মাধ্যমে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূর্ণ হতে চলেছে, এবং এটি এই অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করবে। সবমিলিয়ে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এবং স্থানীয় মানুষদের জন্য একটি বড়ো সুখবর।