নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি বিধানসভার প্রত্যেকটিতে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলায় ব্যাপক পট পরিবর্তন করে গেরুয়া শিবির। জেলার একটিমাত্র লোকসভা আসন গেরুয়া শিবির নিজেদের ঝুলিতে পুরে। ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় এই জেলায় বেশিরভাগ বিধানসভায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
১৯-র লোকসভা অনুযায়ী কোন কোন বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি বা তৃণমূল
১) ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র : ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ১৭৭৬৬ ভোটে এগিয়ে ছিল।
২) ময়নাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র : এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল ১৪৭৪৭ ভোটে।
৩) জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র : ৩৯১৮৫ ভোটে এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়েছিল তৃণমূলের থেকে।
৪) রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র : রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে তৃণমূল। এখানে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ৪৩২০ ভোটে। তবে ব্যবধানে তেমন ফারাক নেই।
৫) দেবগ্রাম-ফুলবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্র : এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলের থেকে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। ৮৬১১৭ ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
৬) মাল বিধানসভা কেন্দ্র : এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ২৪০৫৯ ভোটে এগিয়ে ছিল।
৭) নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্র : এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ৫০২৪৪ ভোটে এগিয়ে ছিল।
তবে এই লোকসভা নির্বাচনের পরেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ভোট কৌশল হিসেবে নিযুক্ত করে প্রশান্ত কিশোরকে। অন্যদিকে শাসকদলে ভাঙনও দেখা যায় এই লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল কি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতো এই জেলায় নিজেদের আসন ধরে রাখতে পারবে, নাকি বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মতো প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্ম ফোটাবে তাই এখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দেখার বিষয়।