নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপির প্রাক্তণ সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দুদিন আগেই রাজ্যে ২০২১-এ বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি একথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর একারণে পশ্চিমবঙ্গে সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে সে কথা শোনা গিয়েছিল তার মুখ থেকে। ঠিক তার পরেই সোমবার বঙ্গ বিজেপিতে বড়সড় রদবদল করা হলো। বঙ্গ বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল করে যুব মোর্চার সভাপতি পদে বসানো হল বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। আর মহিলা মোর্চায় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সভানেত্রীর জায়গায় এলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে করা হলো রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকেও বসানো হলো রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে।
বিজেপির যুব সংগঠনের ক্ষেত্রে সৌমিত্র খাঁয়ের জায়গায় আগে ছিলেন দেবজিৎ সরকার। দেবজিৎ সরকার এবারের নতুন কমিটিতে কোন জায়গা পাননি। এছাড়াও সদ্য গঠন করা কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে আসা সল্টলেকের প্রাক্তণ মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তিনিও বসেছেন রাজ্য সম্পাদকের পদে। নতুন কমিটি অনুযায়ী বিজেপির পাঁচজন সাধারণ সম্পাদক হলেন সায়ন্তন বসু, রথীন্দ্রনাথ বোস, সঞ্জয় সিংহ, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়া এদিন রাজ্যের ১৩ জন সহ সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যারা হলেন, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, সুভাষ সরকার, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাপি মিত্র, রাজকুমার পাঠক, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, রিতেশ তেওয়ারি, অর্জুন সিং, ভারতী ঘোষ, দীপেন প্রামানিক, মাফুজা খাতুন।
পাশাপাশি রাজ্য কমিটির ১০ জন সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। যারা হলেন তুষার কান্তি ঘোষ, তুষার মুখোপাধ্যায়, অরুণ হালদার, সব্যসাচী দত্ত, বিবেক সোনকর, ফাল্গুনী পাঠক, তনুজা চক্রবর্তী, সংঘামিত্রা চৌধুরি, শর্বরী মুখোপাধ্যায় এবং দীপাঞ্জন গুহ। এছাড়াও মহাদেব সরকারকে করা হয়েছে কিষান মোর্চার সভাপতি, আলী হোসেন সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন। দুলাল বর পেলেন এসসি মোর্চার সভাপতিত্ব, খগেন মুর্মু পেলেন এসটি মোর্চার সভাপতিত্ব।
প্রসঙ্গত রাজ্য কমিটির এই রদবদলের ঘোষণা জানুয়ারি মাসেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন তা পিছিয়ে পড়ে। তবে তার মাঝেই ১৬ ই জানুয়ারি রাজ্যের সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হন দিলীপ ঘোষ। আর তারপরেই নতুন কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করার কথা হয়। কিন্তু তা পিছিয়ে পড়ে বর্তমান করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে।