নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গ রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম বলতে যাদের নাম উঠে আসে তাদের মধ্যে লকেট চ্যাটার্জি একজন। পড়াশোনা করার পর নাট্যজগতে এবং অভিনয় জগতের পর সরাসরি রাজনীতি। রাজনীতির প্রথম ভাগ শুরু হয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে, যদিও পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগদান করে তিনি হয়ে ওঠেন গেরুয়া শিবিরের অন্যতম নেত্রী
ভোটের ময়দানে নামার পর গত লোকসভা নির্বাচনে প্রথম তিনি জয়ের মুখ দেখেন। এর পর পুনরায় তাকে বিজেপি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী হলফনামা পেশ করেছেন। যে হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে তাঁর এবং তাঁর স্বামীর নামে কোন রকম ঋণ নেই। পাশাপাশি তার সম্পত্তি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কেও তিনি জানিয়েছেন হলফনামায়।
সম্পত্তি : মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় লকেট চ্যাটার্জি জানিয়েছেন তার হাতে নগদ ছিল ৩৩ হাজার ৪৫২ টাকা এবং তার স্বামীর হাতে নগদ ছিল ২৭ হাজার টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তিনি উপার্জন করেছেন ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৫৪ টাকা এবং তার স্বামী প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য্য রোজগার করেছেন ১৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৩১ টাকা।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, গাড়ি এবং সোনার গয়না সমস্ত কিছু মিলিয়ে তার মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৫.৯৩ টাকা। যার মধ্যে তার সোনার গয়না রয়েছে ৫০০ গ্রাম, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২২ লক্ষ টাকা। তার নামে দুটি গাড়ি রয়েছে যার মূল্য যথাক্রমে ১৫ লক্ষ টাকা এবং ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। একই খাতে তার স্বামীর মত সঞ্চয়ের পরিমাণ ৭৭ লক্ষ ৫ হাজার ৮৩৬ টাকা।
লকেট চ্যাটার্জির নামে তিনটি এবং তার স্বামীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যে পুলিশ বর্তমান বাজারমূল্য যথাক্রমে ৫২ লক্ষ টাকা, ৫১ লক্ষ টাকা, ৭৬ লক্ষ এবং ২৫ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে লকেট চ্যাটার্জির মোট সম্পত্তি ১ কোটি ৭৯ লক্ষ এবং তার স্বামীর সম্পত্তি ২৫ লক্ষ টাকা।
[aaroporuntag]
শিক্ষাগত যোগ্যতা : হলফনামায় যে তথ্য পেশ করেছেন তা থেকে জানা যাচ্ছে লকেট চ্যাটার্জি ১৯৯৭ সালে যোগমায়াদেবী কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন।