নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা মাস। ইতিমধ্যেই এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শাসক থেকে বিরোধী পক্ষ সকলেই বর্তমান করোনা আবহের মধ্যেও নেমে পড়েছেন নিজেদের পায়ের মাটি শক্ত করতে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল যেমন বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে নিজেদের কর্মসূচি শুরু করেছে ঠিক তেমনই বিজেপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও আসরে নেমে পড়েছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে একটু আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সোমবার শিলিগুড়িতে এসে CAA নিয়ে তার মন্তব্য প্রকাশের মাধ্যমে যেন এই নির্বাচন এবং CAA ইস্যুর বোধন ঘটালেন। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, “শীঘ্র হওয়া CAA লাগু করা হবে।”
CAA পাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। সেই বিক্ষোভের আগুন পশ্চিমবঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও এই বিক্ষোভ ঢাকা পড়ে যায় করোনা পরিস্থিতির কারণে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে CAA নিয়ে সরব হতে দেখা যাওয়ায় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে জে পি নাড্ডা বলেন, “করোনা অতিমারির জন্য CAA লাগু হতে দেরি হচ্ছে। তবে এখন করোনা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি CAA নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এটি খুব শীঘ্রই কার্যকর করা হবে। আর এই CAA কার্যকর হলে এর উপকারিতা পাবেন আপনারা।”
এর পাশাপাশি জে পি নাড্ডা আত্মবিশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন করবে। তিনি তৃণমূল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই কাটমানি সরকারের সংস্কৃতি নিয়ে বাংলার মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে।