অমরনাথ দত্ত : আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২২০-২৩০ টা আসন পাবে একথা আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে জানিয়ে দিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর এবার তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে জানিয়ে দিলেন অন্যান্য দল এবং বিজেপি কতগুলো আসন পাবে।
শনিবার বোলপুর হাইস্কুলে তৃণমূলের একটি কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যে কর্মীসভার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়াও ছিলেন মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ সহ অন্যান্যরা। আর এই কর্মীসভায় শেষেই অনুব্রত মণ্ডল সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা সম্পর্কে মুখ খোলেন।
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরিকে বারংবার দেখা যাচ্ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নানান ভাবে আক্রমণ করতে। আর এবার অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর দলকে ‘ছাগল পাগলের দল’ বলে কটাক্ষ করে বলেন কিছু বলতে চাই না। অনুব্রত মণ্ডল এদিন বলেন, “ও কি বললো আমার দেখে লাভ নাই। ছাগল পাগলের দল। ওর ব্যাপারে আমি ইন্টারেষ্টিং নয়। আগেও বলেছি, এখনো বলছি। গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। ও যা বলছে বলুক। কিছু বললে আমার কিছু বয়ে যায় না।”
এরপরেই আসে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি কতগুলি আসন পাবে তার প্রসঙ্গ। আর এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল জানান, “আমি ১৬ তে বলেছিলাম ২১০ থেকে ২২০। আবার আজকে বলে রাখলাম ২২০ থেকে ২৩০। বাকি সব দল পাবে। কংগ্রেস পাবে, সিপিআইএম পাবে।”
তাহলে বিজেপি কত পাবে? আর একথা শুনেই অনুব্রত মণ্ডল জানান, “গোটা রাজ্যে ২০ টা পেরোতে পারবে না, আবার কি। আর বীরভূমে কে খাতা খুলে দেখা যাক।”
এর পাশাপাশি এদিন এই প্রশ্ন ওঠে যে শুভেন্দু অধিকারী যদি বিজেপিতে যায় তাহলে কি ফ্যাক্টর দাঁড়াবে তৃণমূলের জন্য? সেই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আগে বিজেপিতে যাক তারপরে বলবো। আমাদের তৃণমূল দলের মমতা ব্যানার্জিই শেষ কথা। তৃণমূল দলে আর কোন খুঁটি নাই, একটাই খুঁটি। মমতা ব্যানার্জি। অনেক জনাইতো চলে গেছে। কি লাভ হয়েছে।”