নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্ম ফোটাতে গেরুয়া শিবির আপ্রাণ চেষ্টা করলেও শেষমেষ তা হলো না। বাংলার মানুষের কাছে ফিকে হয়ে গেছে মোদি ম্যাজিক, চাণক্য অমিত শাহের চাল। শুধু বাংলা দখল করা থেকে দূরে থাকা নয় পাশাপাশি এই নির্বাচনে বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীকেও মুখ থুবড়ে পড়তে হয়। তবে কয়েকজন মান রাখেন।
মুকুল রায় : ২০ বছর পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতা মুকুল রায় কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে ভোটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে এর আগে তিনি যতবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন কোন বার জয় পাননি। তবে এবার তিনি জয় পান। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে ৩৫ হাজার ৮৯ ভোটে পরাজিত করেন।
লকেট চট্টোপাধ্যায় : লোকসভায় ভালো ফল করার পাশাপাশি লকেট চট্টোপাধ্যায় বঙ্গ বিজেপি-র অন্যতম মুখ। যে কারণে দল তার ওপর ভরসা রেখে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য পাঠায়। কিন্তু আশাজনক ফলাফল না করার পাশাপাশি বিপুল ভোটে হারের মুখ দেখতে হয়। তাকে তৃণমূলের অসিত মজুমদারের কাছে ১৮,৪১৭ ভোটে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়।
শমীক ভট্টাচার্য : বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ হলেও সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা অদিতি মুন্সির কাছে পরাজিত হন। তিনি রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৫,২৯৬ ভোটে পরাজিত হন।
বাবুল সুপ্রিয় : টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাবুল সুপ্রিয় বিদায়ী মন্ত্রী অরূপ রায়ের কাছে পরাজিত হন। দুজনের ভোটের ব্যবধান ৫০ হাজার ৮০।
রাহুল সিনহা : একাধিকবার ভোটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এখনো পর্যন্ত জয় হাসিল করতে পারেননি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এবারও তিনি হাবরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হলেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে তিনি মাত্র ৩৮৪১ ভোটে পরাজিত হন।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় : একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই ভোটাভুটি মন্ত্রিত্ব এবং দল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। যার পর ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে তাকে কল্যাণ ঘোষের কাছে ৪২ হাজার ৬২০ ভোটে পরাজিত হতে হয়।
নিশীথ প্রামানিক : লোকসভা ভোটের পর বিধানসভা ভোটে তিনি জয় হাসিল করে গেরুয়া শিবিরের মান রাখলেন। তিনি এবার দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে তার জয়ের ব্যবধান মাত্র ৫৭ ভোট। যা বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ উল্লেখযোগ্য। এই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ পেয়েছেন ১১৫৯৭৮ টি ভোট এবং নীতিশ প্রামানিক পেয়েছেন ১১৬০৩৫ টি ভোট।
সব্যসাচী দত্ত : বিধান নগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব্যসাচী দত্তকে হারের মুখ দেখতে হল তৃণমূলের সুজিত বসুর কাছে। ৭৯৯৭ ভোটে তাকে পরাজিত হতে হয়।
[aaroporuntag]
ভারতী ঘোষ : ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রে এবার টক্কর হয়েছিল সেয়ানে সেয়ানে। লড়াইটা ছিল দুই প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের। আর এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূলের হুমায়ুন কবির। ভারতী ঘোষকে তিনি ১১,০২৯ ভোটে পরাজিত করলেন।