অমরনাথ দত্ত : শান্তিনিকেতনের মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের মদতে জেসিবি দিয়ে বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তবে এরই মাঝে আবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়েছিলেন, “বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতনের মাঠে রাতের অন্ধকারে নানান অসামাজিক কাজকর্ম হয়, সেক্স র্যাকেট চলে।”
তবে বিশ্বভারতীতে সেক্স র্যাকেট চলার মতো যে মারাত্মক অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তরফ থেকে তা একেবারেই মানতে নারাজ বিজেপিরই আরেক নেতা অনুপম হাজরা।
অনুপম হাজরা এবিষয়ে রবিবার বোলপুরে এসে জানিয়েছেন, “দেখুন আমি বিশ্বভারতীর ছাত্র ছিলাম। এখানে সেক্স র্যাকেট চলে বলে আমার জানা নেই। ফলে কে কি বললো সেটা আমি দেখতে যাব না। আমি এখানে ছোট থেকে বড় হয়েছি। বিশ্বভারতী নিয়ে আমরা একসাথে লড়ছি, একসঙ্গে লড়ছি, ইউনাইটেডলি লড়ছি, নিশ্চয়ই লড়বো। তবে তার মানে এটা নয় যে বিশ্বভারতীর নামে একটা ভুলভাল, বিশ্বভারতীর রেপুটেশন খারাপ করে লড়বো সেটা নয়। আমরা যারা এখানেই ছোট থেকে মানুষ হয়েছি তাদের কাছে বিশ্বভারতী একটা আবেগের নাম। অতএব আমি এখানে অন্তত কোনদিন সেক্স র্যাকেট চলতে দেখিনি। ফলে কে কি বলেছেন সে দায়িত্ব তার, আমি সেই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।”
এর পাশাপাশি অনুপম হাজরা এদিন বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “বিশ্বভারতীতে যেটা হয়েছে সেটা ঐতিহাসিকরা ব্যাপার। কখনো আপনি দেখেছেন একটা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে জেসিবি নিয়ে গেট ভাঙ্গা হচ্ছে? যেটা হচ্ছে যে দলের যেমন কালচার। ট্রাক্টর নিয়ে আশেপাশের গ্রাম থেকে লোক এসে যেভাবে বর্বরোচিত আক্রমণ করা হয়েছে আমার মনে হয় সেটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমি চাইবো যুব মোর্চা তরফ থেকে এখানে একটি মিছিল করা হবে।”