নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে দলবদলের হিড়িক লক্ষ্য করা গেছে তা এর আগে কোনো নির্বাচনে লক্ষ্য করা গেছে কিনা তা কারোর জানা নেই। আবার দল বদলের মাঝেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ শাসক দল তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছে।
আর এমত অবস্থায় যখন বীরভূমের ভোটগ্রহণ এগিয়ে আসছে ঠিক সেই সময় বীরভূমের নানুরের বাসাপাড়ায় রোড শো করতে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বেশ কতকগুলি জল্পনাকে উস্কে দিলেন। যার মধ্যে তার দাবি, ‘ওই পার্টিতে (তৃণমূল) থেকেও আমাদের হয়ে ব্যাটিং করছে’। আর দ্বিতীয় দাবি হলো অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ। যেখানে তিনি দাবি করেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি কয়লা কেসে ডাক পড়বে অনুব্রতর’।
অনুপম হাজরা এদিন রোড শো করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে বলেন, “নানুর থেকে এবার বিজেপি ৪৮ হাজারের বেশি লিড পাবে। কারণ ওই দিকের (তৃণমূল) হয়ে যারা ব্যাটিং করতে এতদিন তারা এই দিকের (বিজেপি) হয়ে ব্যাটিং করছে। তাই স্কোরবোর্ড তো একই হবে। ওই পার্টিতে থেকেও এই পার্টির হয়ে যারা ব্যাটিং করছেন একটু সময় দিন তাহলেই বুঝতে পারবেন। তারা হয়তো ২ তারিখের পর প্রকাশ্যে আসবেন। তারা এখন ওই দিকে থাকলেও যোগাযোগে আছেন।”
জল্পনা আরও বাড়িয়ে অনুপম হাজরার বক্তব্য, “তৃণমূলে তো বেসুরো লোকের অভাব নেই। আর তৃণমূলের সবথেকে বেশি সংখ্যা হচ্ছে যারা লুকিয়ে লুকিয়ে বিজেপি করে। সেই জন্য আমাদের প্রার্থীর ওপর তৃণমূলের সাপোর্টও থাকবে। যখন যা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে সেই যন্ত্রপাতি নাড়িয়ে আমাদের প্রার্থীকে জয়ী করবে।”
এর পাশাপাশি তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন। কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেন অনুব্রত মণ্ডলের অবসর নেওয়ার কথা। পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যাপ্টেন হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন বলেও দাবি করেন।
অনুপম হাজরার বক্তব্য, “অনুব্রত মন্ডলের বয়স হয়েছে। তারপর দিদি যে খেলা চালু করেছেন সেই খেলায় ক্যাপ্টেন হয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন। তারপর কোন প্লেয়ারের যদি ঠিকঠাক মাথায় অক্সিজেন না যায় তাকে তো মাঠের বাইরে থাকায় ভালো।”
পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, “যা শুনছি খুব তাড়াতাড়ি কয়লা কেসে উনার ডাক পড়বে। সুতরাং যে টাকাগুলো করেছেন সেই টাকাগুলো কি করে সংরক্ষণ করবেন সেটাতেই উনি ব্যস্ত। খুব তাড়াতাড়ি শ্রীঘরে যাওয়ার ব্যবস্থা চলছে। সেই জন্য দেখবেন ওনার অনেক ঝাঁঝ কমে গেছে। সময় এলে বুঝতে পারবে উনার রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার ছাড়া কোন উপায় নেই।”
[aaroporuntag]
তবে অনুপম হাজরার এই সকল কটাক্ষ এবং দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা এবং অন্যান্যরা তাকিয়ে আছেন এর পাল্টা অনুব্রত মণ্ডল কি দেন তার দিকেই।