নিজস্ব প্রতিবেদন : একসময় যিনি তৃণমূলের সাংগঠনিক কারিগর ছিলেন তিনিই পরে তৃণমূল ভাঙনের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ান। অন্ততপক্ষে এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তিনিই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি থেকে কৃষ্ণনগর উত্তরের প্রার্থী, বিধায়ক। যদিও এই পোড়খাওয়া নেতাটি ১১ জুন ২০২১-এর পর আবারও তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে প্রত্যাবর্তন করেন।
বিজেপির তরফ থেকে কৃষ্ণনগর উত্তরের প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর মুকুল রায় নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাথে জমা দিয়েছেন হলফনামা। আর এই হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে মুকুল রায়ের সম্পত্তির পরিমাণ এবং তার শিক্ষাগত যোগ্যতা।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মুকুল রায় জানিয়েছেন তার হাতে নগদ ছিল ৩৫ হাজার ৭৫২ টাকা এবং তার স্ত্রীর হাতে নগদ ছিল ৬৫ হাজার ৭৫৯ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তিনি এবং তার স্ত্রী যথাক্রমে রোজগার করেছেন ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা এবং ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৮১ টাকা। ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আমানত সহ মুকুল রায়ের মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ৮ লক্ষ ৮০ হাজার ১৩১.২২ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৭৮.৯৬ টাকা। যার মধ্যে তার স্ত্রীর ১০৭.৬৬ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না রয়েছে।
তার নামে কোন আচাষযোগ্য জমি না থাকলেও তার স্ত্রীর নামে উত্তর ২৪ পরগনায় রয়েছে ২৫৭০ স্কয়ার ফিটের একটি জমি। যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা। মুকুল রায়ের নামে ১৪০০ স্কয়ার ফিটের একটি বসতবাড়ি রয়েছে কাঁচরাপাড়ায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৪২ লক্ষ টাকা। এছাড়া মুকুল রায়ের নামে কোন গাড়ি অথবা আর কোনো সম্পত্তি নেই বলে জানিয়েছেন হলফনামায়। মুকুল রায় তার উপার্জনের সূত্র বলতে পেনশন এবং তার স্ত্রীর উপার্জনের সূত্র হল ব্যবসা বলে জানিয়েছেন হলফনামায়।
[aaroporuntag]
হলফনামায় মুকুল রায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি ২০০৬ সালে মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। অন্যদিকে হলফনামায় মুকুল রায় এটাও জানিয়েছেন যে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ১৯টি মামলা চলছে।