হিমাদ্রি মণ্ডল : কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতায় রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও ঘটনার ক্ষেত্রে ডাহা ফেল নির্বাচন কমিশন। গতকাল এমনটাই অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এবং পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে তিনি আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। আর শুভেন্দু অধিকারীর দাবির পর জেলার বিজেপি নেতৃত্বদের মুখ থেকেও একই কথা শোনা যাচ্ছে। যার পরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ফের ইভিএম ভিভিপ্যাট গণনা!
গতকাল শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, “বিজেপি সরকার গড়তে না পারলেও একশোর উপরে সিট পাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। গণনার সময় এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গণনায় কারচুপি হয়েছে, যে কারণেই বিজেপির আসন সংখ্যা কমে গেছে।”
একইভাবে বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, “একাধিক কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের হারের ব্যবধান খুব কম। আর সেই সকল কেন্দ্রে আমরা ভিভিপ্যাট গণনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ভিভিপ্যাট গণনার জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই গৌরব ভাটিয়া সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। তার রায়ের অপেক্ষায় আছি আমরা।”
[aaroporuntag]
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারীর কাছে খুব কম সংখ্যক ভোটে পরাজয়ের পর তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনর্গণনার দাবি তুলেছিলেন। যদিও সেই দাবিকে নস্যাৎ করতে দেখা যায় নির্বাচন কমিশনকে। তবে এই প্রথমবার গতকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে বিজেপির নেতা নেত্রীদের মুখ থেকে পুনর্গণনার দাবি তোলা হচ্ছে এবং আদালতে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি পুনর্গণনা অথবা ভিভিপ্যাট গণনা করা হবে?