নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল হিসাবে প্রত্যাবর্তন করে তৃণমূল যেমন ইতিহাস তৈরী করলো, ঠিক তেমনি বিজেপিও তৈরি করলো ইতিহাস। শাসকদল হওয়ার স্বপ্ন তাদের চুরমার হলেও তারাই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পরিগণিত হলো। আর এরপরই প্রশ্ন উঠছে বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাকে বেছে নেবে বিজেপি? কে এগিয়ে রয়েছেন এই দল নেতা হওয়ার দৌঁড়ে?
কে হবেন বিরোধী দলনেতা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্দরে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কারণ ইতিমধ্যেই যে ৭৭ জন বিজেপি প্রার্থী বিধায়ক হয়েছেন তাদের অধিকাংশই প্রথমবার বিধায়ক হয়েছেন এবং হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকিদের পরিষদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতা নেই। ফলে কাকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হবে তা নিয়ে দোটানায় রয়েই গিয়েছে।
বিরোধী দলনেতার দৌঁড়ে উঠে আসছে মুকুল রায়ের নাম। তিনি এবছর কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি একসময় রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন এবং রেল মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন।
দ্বিতীয় নাম হিসেবে উঠে আসছে শুভেন্দু অধিকারীর। পরিষদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতা হিসেবে বাকিদের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে তিনি। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং সাংসদও ছিলেন।
আর এই তালিকায় আরও যেসকল নাম উঠে আসছে তারা হলেন বালুরঘাটের বিধায়ক অর্থনীতিবীদ অশোক লাহিড়ী, নিশীথ প্রামানিক, মনোজ টিগ্গা, স্বাধীন সরকার, জগন্নাথ সরকার। তবে এর পাশাপাশি আদি বিজেপির আর কাউকে এই দায়িত্বের জন্যে বেছে নেওয়া যায় কিনা তাও দেখছে দল।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে মুকুল রায় অসুস্থ। পাশাপাশি তার ঘাড়ে রয়েছে দলের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এই জায়গায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হলে অতিরিক্ত চাপ পড়বে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দলের ভরাডুবির মাঝে মান বাঁচিয়েছেন। সেই জায়গায় তাকে উপহার স্বরূপ এবং অভিজ্ঞতার নিরিখে দলনেতার ব্যাটন তার হাতে তুলে দিতে পারে বিজেপি এমনটা মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।