নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের পর এই নিয়ে মুকুল রায়ের পর দ্বিতীয় কোনো বিজেপি বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। সোমবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে তার দল পরিবর্তনের পরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন। একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের মুখ থেকেও।
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দলত্যাগ করা এই বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী চিঠি দেওয়া হবে। চিঠিতে তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হবে। তবে এই চিঠির কোন উত্তর তিনি দিতে পারবেন না বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে তন্ময় ঘোষের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসাবে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, পুলিশ দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে, শ্যামাপ্রসাদ বাবুর সঙ্গে এবার তাকেও জেলে যেতে হবে। পাশাপাশি মদের ব্যবসা এবং রেশনের ব্যবসা বাঁচানোর জন্যই তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারীর কথা অনুযায়ী, “আমরা জানি এখানে আপনার মদের ব্যবসা আছে। আবগারি দফতরের কমিশনার জানিয়েছেন, তৃণমূলে যোগ না দিলে ব্যবসা যাবে। তন্ময়ের রেশনের ব্যবসা আছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন তৃণমূলে যোগ না দিলে ব্যবসা বন্ধ হবে।”
এর সাথে সাথেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মুকুল রায়ের সদস্যপদ যেমন আপনারা বাঁচাতে পারবেন না, ঠিক তেমনই তন্ময়ের সদস্য পদ বাঁচাতে পারবেন না। তৃণমূল যত অনৈতিক কাজ করবে, ততোই বিজেপি কর্মীরা উজ্জীবিত হবে। পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, এক মাঘে শীত যায় না। রাজ্যে তৃণমূল আছে, কেন্দ্রে আছে বিজেপি।