নিজস্ব প্রতিবেদন : নন্দীগ্রামে ভোটের আগেই প্রথম তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছিল। আর ঠিক পঞ্চম দফা ভোটের আগে ফের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে। নয়া এই অডিও ক্লিপ ফাঁস করে শীতলকুচির ঘটনায় ‘মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করল বিজেপি। যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করে নি BanglaXp।
যে অডিও ক্লিপটি ফাঁস হয়েছে সেখানে শোনা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে কথা বলছেন শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থ প্রতিম রায়ের সাথে। দুজনের কথাবার্তা শুনে যেটুকু স্পষ্ট তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থপ্রতিম রায়কে ফোন করেছেন ঠিক শীতলকুচির ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেই। আর সেই ফোনে তিনি তার দলের প্রার্থীকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার এই নতুন অডিও ক্লিপ সাংবাদিক বৈঠক করে প্রকাশ করেন রাজ্য সহ-পর্যবেক্ষক তথা বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। আর সেখানেই তিনি দাবি করেন এই ফোনালাপ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়ের।
অডিও ক্লিপে মহিলা কণ্ঠস্বরে অর্থাৎ যাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর বলে দাবি করা হচ্ছে তাকে নির্দেশ দিতে শোনা যাচ্ছে, “সবকটা সিআরপিএফকে গ্রেপ্তার করাবো। ডেডবডিগুলো এখন রেখে দাও। আজকে পরিবারগুলোকে বলবে, কেউ ডেডবডি নেবে না। কালকে ডেডবডিগুলো নিয়ে র্যালি হবে।”
এছাড়াও ওই মহিলা কণ্ঠস্বরে বলতে শোনা যায়, “তুমি এক কাজ করো, পুরো এফআইআর করবে। আইনজীবীকে দিয়ে, নিজের ইচ্ছামতো করবে না। বাড়ির লোক যে এফআইআর করবে সেটা আমি বলে দেব ভোটের পর। এখনই পুলিশ বয়ান নিতে গেলে দেবে না। ভাল করে এফআইআর করতে হবে। যাতে কম্যান্ড জোন থেকে শুরু করে এসপি থেকে শুরু করে, সবকটা ফাঁসে।” আরও একাধিক নির্দেশ এই ১:১৯ মিনিটের দীর্ঘ ফোনালাপের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
सुनिए कैसे ममता बनर्जी सीतलकूची में शवों के साथ जुलूस निकालना चाहती थी। वो SP और IC को फ़साना चाहती थी… NPR और डिटेन्शन सेंटर की झूठी अफ़वा फैला कर, अल्पसंख्यकों का वोट अपनी तरफ़ करना चाहती थी…
कूच बिहार के ज़िला अध्यक्ष और सीतलकूची से TMC के उम्मीदवार से कही ये बातें… pic.twitter.com/WWeYgx9GWj
— Amit Malviya (@amitmalviya) April 16, 2021
[aaroporuntag]
আর এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আনার পর অমিত মালব্য দাবি করেছেন, “এই ফোনালাপ থেকেই স্পষ্ট তৃণমূল শীতলকুচির ওই বুথ দখল করার চেষ্টা চালিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন।”