‘না বুঝেই বিরোধিতা করে’, শিক্ষানীতির বিরোধিতা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

অমরনাথ দত্ত : গত মঙ্গলবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংগঠনিক কাজে বীরভূমে আসেন। কীর্ণাহারে সাংগঠনিক কাজকর্ম সেরে বোলপুরে রাত কাটান এবং বুধবার ভোরবেলা বোলপুর শহরের কর্মীদের নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হন। আর এই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্যের বিরোধিতা, বিশেষ করে নয়া শিক্ষানীতির বিরোধিতা প্রসঙ্গে বর্তমান রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “কিছু একটা গন্ডগোল হলেই টাকা চাই টাকা চাই। ভিখারীর মতো দশা। মনটাই ভিখারি এদের। না বুঝেই বিরোধিতা করে।”

Advertisements

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন পূর্বপরিকল্পনা মত বোলপুর শহরের জনসংযোগ বাড়াতে একটি চায়ের দোকানে চা খাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু দেখা যায় সেই চায়ের দোকান বন্ধ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেখানে আমাদের চা খাওয়ার কথা ছিল সেই চায়ের দোকানদারকে ভয় দেখিয়ে চা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা কর্মীদের বাড়ি থেকেই চা বানিয়ে নিয়ে এলাম। তবে শুধু এখানে নয়। আমি যখন হাওড়া গিয়েছিলাম পুরো বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ইকো পার্কে গেলে পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়, গল্ফ ক্লাবে গেলে ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়। যারা পশ্চিম বাংলায় কলকারখানা, স্কুল বন্ধ করেছে তারা এর থেকে বেশী আর কিছু করতে পারে না। আর এই করে বিজেপিকে আটকানোও যাবে না। ভয় করে বলেই দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া করাচ্ছে।”

Advertisements

এদিন মনিরুল ইসলাম প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মনিরুল ইসলামকে প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে নতুন নতুন কেস দেওয়া হয় যাতে উনি এখানে ফিরতে না পারেন। এরা ভয় করে মনিরুল ইসলামকে। ভাবে মনিরুল ইসলাম লাভপুরে এলে হয়তো পাল্টে যাবে সব। যার জন্য একের পর এক কেস দিয়ে এলাকায় ঢোকা আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে আমার মনে হয় আর কিছুদিন পরে সেটা আর করতে পারবে না। পুলিশ তো আর সব সময় টিএমসির ক্যাডারের মতো কাজ করতে পারবে না। ইলেকশন কমিশন যখন লাগবে তখন আমরাও দেখবো কিরকম রাজনীতি করতে পারে।”

Advertisements

এরপরেই এদিন প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গ। আর তারপরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বর্তমান রাজ্যের শাসক দল এবং রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, “সব কিছুতেই বিরোধিতা করে। খালি GST-র টাকাটা চায়। কিছু একটা গন্ডগোল হলেই টাকা চাই, টাকা চাই। ভিখারীর মতো দশা। মনটাই ভিখারী এদের। যে জন্য নতুন কিছু করতে পারবে না এরা। কেন্দ্রের বিরোধিতা করার কি চাই, কেন বিরোধিতা করবে তার কোন যুক্তি নাই। কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়ে গোটা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা প্রশংসা করছেন। তারা বলছেন ভারত প্রথমবার একটা সুদূরপ্রসারি শিক্ষানীতি এনেছে। ইনারা না বুঝেই বিরোধিতা করেন সবকিছুর। কেন্দ্রের ট্রেন ঢুকতে দেবেনা, কেন্দ্রের বিমান ঢুকতে দেবেনা। শুধু চাল ডালটা নেবে। কারণ ওটা লুট করতে সুবিধা হয়। এই ধরনের রাজনীতি বন্ধ হোক। পশ্চিমবাংলার মানুষ বুঝতে পারছেন কাদের আমরা জিতিয়ে নিয়ে এসেছি। এই ডাকাতদের বিদায় না করলে পশ্চিম বাংলার উন্নতি হবে না।”

Advertisements