অমরনাথ দত্ত : বিজেপির তরফ থেকে বুধবার বীরভূমের প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ দেখানো এবং ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আর এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ বীরভূমের পাঁড়ুইয়ে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজির কারণে উত্তপ্ত রয়েছে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁড়ুই থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে।
রাজনৈতিক এই সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তারা যখন পাঁড়ুই থানায় ডেপুটেশন জমা দিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তখন এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের তরফ থেকে যাতে ডেপুটেশন জমা না দিতে না পারা যায় তার জন্য বোমাবাজি শুরু করা হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তারা।
যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আনা এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, এলাকাকে উত্তপ্ত রাখার জন্য বিজেপি কর্মীরা এইভাবে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছে। তারাই বোমাবাজি করে তৃণমূলের নামে দোষারোপ করতে চাইছে।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পাঁড়ুই থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি বীরভূমের অন্যান্য থানা থেকে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ আনা হচ্ছে ঘটনাস্থলে। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় জমায়েত করে রাখায় যেকোনো সময় আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সিউড়ি থেকে বোলপুর যাওয়ার রাস্তার উপর পাঁড়ুইয়ে এই ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, এদিনের এই ডেপুটেশন প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানিয়েছেন, “বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূলের সন্ত্রাস, এর পাশাপাশি পুলিশের হয়রানি। বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় পুলিশের তরফ থেকে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো, গ্রামছাড়া করা ইত্যাদির প্রতিবাদেই এদিন আমাদের এই ডেপুটেশন। আর এই ডেপুটেশন জমা দেওয়ার সময় পাঁড়ুইয়ে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে এবং বোমাবাজি করে।”