অমরনাথ দত্ত : গত ৭ অক্টোবর বীরভূম জেলার প্রতিটি থানায় বিজেপির বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। আর এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগেই উত্তপ্ত হয়েছে পাঁড়ুই, আর এবার সেই আগুনের ছোঁয়া পৌঁছালো ইলামবাজারেও। ইলামবাজারের শোলা গ্রামের এক বিজেপি কর্মীকে মার-ধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে ‘সাজানো ঘটনা’।
এলাকার শেখ মুজাম নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে জানিয়েছেন, “থানায় ডেপুটেশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলাম বলে তৃণমূলের লোকেরা আমাকে মারলো। বৃহস্পতিবার রাতে আমি দোকান থেকে আসার সময় তৃণমূলের ৮ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতী আমার পথ আটকে আমাকে পোলে বেঁধে মার-ধর করে। ঘটনার সময় তৃণমূলের আলাই, জাহাঙ্গীর, বাবলু, এনামুল, জসিম, লালন এরা সবাই উপস্থিত ছিল।”
ঘটনার পর ওই ব্যক্তিকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি ইলামবাজার থানায় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, “শোলা গ্রামের যে ঘটনা সেই ঘটনা সম্পূর্ণ পারিবারিক ঘটনা। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন রকম যোগ নেই। ওই ব্যক্তি সেদিন কোন মিছিলে আসেননি। এটা সম্পূর্ণভাবে বিজেপি সাজাচ্ছে। টাকা পয়সা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে বিজেপি কর্মী সাজানো হচ্ছে। আর তারপর এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে বিজেপির কোন অস্তিত্ব নেই বলে মিডিয়ার সামনে আসতে চাইছে।”
যদিও ওই ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নাকি সম্পূর্ণ পারিবারিক ঘটনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ইলামবাজার থানার পুলিশের তরফ থেকে।