লাল্টু : সদ্যসমাপ্ত হওয়া বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে হিড়িক পড়েছিল দলবদলের। আগে বললে ভুল হবে, ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। আগে যা হয়েছিল এদিক থেকে ওদিক, এখন তা ওদিক থেকে এদিক। অর্থাৎ ঘরওয়াপসি।
ভোটের আগে ২৩ মে বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ভূতনাথ মন্ডল এবং তার অনুগামীরা সদলবলে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই দেখা যায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পুনরায় তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন।
আর এই ঘটনার পরই রাজ্যের বহু জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীদের ঘরওয়াপসি শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই মাস চারেকের মোহভঙ্গ করে এই প্রাক্তন কাউন্সিলার ভূতনাথ মন্ডল শনিবার তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন করলেন তার অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে।
এদিন দুবরাজপুর দলীয় কার্যালয়ে দলের প্রত্যাবর্তন করা কর্মী সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি মলয় মুখার্জি, দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানিক মুখার্জী, তৃণমূল নেতা পীযূষ পান্ডে এবং শেখ নাজিরউদ্দিন।
এই সকল তৃণমূল নেতাকর্মীদের দলে প্রত্যাবর্তনের পর মলয় মুখার্জি জানান, “ভোটের আগে এরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিল। ভোটের সময় বিজেপির হয়ে কাজও করেছিল। ভেবেছিল বিজেপি সরকারে চলে আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। মমতা ব্যানার্জির সরকার পুনরায় প্রত্যাবর্তন করেছে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তারপরেই এই সকল দল ছেড়ে যাওয়া কর্মীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং পুনরায় তৃণমূলে ফেরত আসার আবেদন জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হলো। এদিন এলাকার প্রায় ৫০০ জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।”