নিজস্ব প্রতিবেদন : ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার। দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের ফল প্রকাশের শুরু থেকেই রীতিমতো আম আদমি পার্টিকে কোণঠাসা করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপিকে। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় দীর্ঘ ২ দশকের বেশি সময় পর দিল্লিতে পদ্ম ফুটলো। আর দিল্লিতে পদ্ম ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই বীরভূমে দফায় দফায় অকাল হোলির আয়োজন করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় বিজেপি সেখানে ৪৮টি আসনে জয়লাভ করেছে। যা কিনা ম্যাজিক ফিগারের থেকে ১২টি আসন বেশি। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় এখন কেজরিওয়ালের দল ২২টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসদিয়া সহ একাধিক হেডিওয়েট আদমি পার্টির নেতাকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে।
আম আদমি পার্টির এইভাবে পরাজয় এবং দিল্লির বিজেপির হাতে আসার পরই শনিবার বীরভূমের সিউড়িতে থাকা বিজেপির জেলা সদর কার্যালয়ে ঢাক ঢোল পিটিয়ে আবির খেলায় মাততে দেখা যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরপর আবার রবিবার রামপুরহাট শহরে শুরু হয় বিজেপির ঢাকঢোল পিটিয়ে শোভাযাত্রা। যেখানে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহাকে রীতিমতো নাচানাচিও করতে দেখা যায়, ঢোলবাদক হিসাবেও দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মমতাজ বিবির হাতে তৈরি মা দুর্গার শাড়ির দাম ৩৩ লাখ টাকা
আর এসবের পাশাপাশি বিজেপি নেতাকর্মীদের তরফ থেকে এবার বাংলাতেও পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে দেখা গিয়েছে। কেননা আর মাত্র কয়েক মাস পরেই ২০২৬ সালে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কড়া টক্কর হওয়ার কথা থাকলেও ভোটের ফলাফলের দিকে বিজেপি সেই ভাবে জায়গা করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির এমন চ্যালেঞ্জ কতটা ফলপ্রসূ হবে ২৬ এর বিধানসভায় তার দিকে নজর থাকবে সকলের।
দিল্লি ভোটে বিজেপির জয় আর বীরভূমে অকাল হোলি pic.twitter.com/bGB0oPeokc
— BanglaXp Official (@BanglaXpBengali) February 10, 2025
তবে বিজেপি যতই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেখ না কেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো জায়গায় বিজেপির শাসন তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা বেশি থাকার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্প বিজেপির এমন স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের বড় অংশ।