বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশে দেরি হওয়ার কারণে ৫ জল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল রাজ্যের ২৯১টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে শুক্রবার। একই দিনে বামফ্রন্টের তরফ থেকে প্রথম দুই দফা ভোটের জন্য ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে এবং আইএসএফ ও কংগ্রেসকে ছেড়ে তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। তবে এর আগে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল শুক্রবারই গেরুয়া শিবিরও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে এমনটা। কিন্তু শেষ লগ্নে এসে জানা যায় তারা মোদির ব্রিগেডের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।

গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে এতটা দেরি হওয়ার কারণ কি? বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে পাঁচটি জল্পনা উঠে আসছে। তবে বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মোদির ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে সমস্ত অঞ্চলে কর্মীরা ব্যস্ত থাকায় ব্রিগেড সমাবেশের পরেই প্রকাশ করা হবে প্রার্থী তালিকা এবং সেটা করা হবে ৯ মার্চের আগেই। কারণ ৯ মার্চ রয়েছে প্রথম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন।

৫ জল্পনা

১) বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীদের এখন পাখির চোখ হলো মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ। জোটের ব্রিগেড সমাবেশ যেভাবে সমর্থকদের ব্রিগেডে এনে ভোটের আগেই ঝড় তুলে দিয়েছে সেই ঝড়কে প্রশমিত করতে পারে একমাত্র মোদীর ব্রিগেড আরও বেশি সংখ্যক মানুষের সমাবেশ ঘটানো। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অঞ্চল থেকে ব্লক সর্বস্তরের বিজেপি নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছেন সমর্থকদের ব্রিগেডে আহ্বান জানাতে।

২) শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা দেখে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ফের একবার গুটি সাজানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ প্রয়োজন পড়লে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রার্থী অদল বদল করা হতে পারে।

৩) তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদায়ী বিধায়করা দল ছাড়ছেন এবং বিক্ষোভ দেখানোর ছবি সামনে আসছে। এই জায়গায় গেরুয়া শিবির দেখে নিতে চায়ছে তৃণমূলে জায়গা না পাওয়া কেউ দলে আসেন কিনা।

৪) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশ যখন গেরুয়া শিবিরের কাছে পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে সময় তার আগে যদি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর বিতর্কের সৃষ্টি হয় তাহলে তার প্রভাব পড়তে পারে সমাবেশের উপর। এই জায়গায়কেও বাঁধ দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

৫) আরও একটি বড় কারণ হল, এখনই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গেলে দলীয় প্রার্থীদের নজর থাকবে নিজের কেন্দ্রের উপরই। প্রয়োজনে তারা নিজেদের জয় ছিনিয়ে নিতে এখনই নিজেদের কেন্দ্রে ছুটে চলে যাবেন। সেটিও পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে ব্রিগেড সমাবেশের ক্ষেত্রে।

[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি আরও কতগুলি জল্পনা তৈরি হয়েছে ব্রিগেড সমাবেশে তারকাদের উপস্থিতি নিয়ে। সেই বিষয়টিকেও নজরে রাখছে গেরুয়া শিবির। যে কারণে ব্রিগেড সমাবেশ শেষ হওয়ার পরেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।