লাল্টু : লকডাউনের সময় কাল থেকে দেশজুড়ে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হলেও ধীরে ধীরে অধিকাংশ এলাকায় স্বাভাবিকের পথে ট্রেন চলাচল। এমনকি বীরভূমের উপর দিয়েও চলছে একাধিক লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো ব্রাত্য ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এবং হুল এক্সপ্রেস। আর এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এখনো বন্ধ থাকায় চরম অসুবিধার সম্মুখীন সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ সাঁইথিয়া অন্ডাল রুটের একাধিক এলাকা। যে কারণে এই ট্রেন দুটি অবিলম্বে চালু করার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হল।
এদিন দুবরাজপুরের বিজেপি কর্মী সমর্থক রা দুবরাজপুর স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারকে ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এবং হুল এক্সপ্রেস অবিলম্বে চালু করার দাবিতে ডেপুটেশন দেন। তাদের দাবি এই দুটি ট্রেন এখনো চলাচল চালু না হওয়ায় দুবরাজপুর শহর সহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার অর্থনীতি থেকে শুরু করে জনজীবন। তাদের অভিযোগ মৌখিকভাবে একাধিকবার এই দুটি ট্রেন পুনরায় চালু করার আবেদন নিবেদন করা হলেও তা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে হচ্ছে।
বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফ থেকে ট্রেন দুটির পরিষেবা পুনরায় চালু না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের ঘাড়ে দোষারোপ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, করোনাকালে কোন রাজ্যে কি ট্রেন চলবে তা নির্ভর করে সেই রাজ্যের রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।
এই প্রসঙ্গে তারা করোনাকালে পরিযায়ী পরিশ্রমীদের ফেরানোর প্রসঙ্গ তুলে জানান, “করোনাকালে যখন প্রতিটি রাজ্য সরকার তাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য ভারতীয় রেলের কাছে ট্রেন চাইছিল, ঠিক তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার ট্রেন চাওয়া তো দূরের কথা ট্রেন চালানোর অনুমতি পর্যন্ত দেয়নি। বর্তমানে কলকাতা কেন্দ্রিক কিছু ট্রেন চলাচলের জন্য রাজ্য সরকার অনুমতি দিলেও জেলা এখনো বঞ্চিত। জানিনা এই সরকারের উদ্দেশ্যটা কি।”
পুনরায় ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পর রামপুরহাট থেকে হাওড়া যাওয়ার জন্য বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালু হলেও এখনো পর্যন্ত ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার চালু না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে বীরভূমের সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের। আর এই ক্ষোভ মাঝে মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিতেও নজরে আসছে।