নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবেশী দেশ হয়েও চীন কখনোই ভারতের বন্ধু হতে পারেনি। সরাসরি গালওয়ান সংঘর্ষ ছাড়া সেইভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা না গেলেও প্রতিনিয়তই চীনের সঙ্গে ভারতের (India vs China) চলছে ঠান্ডা লড়াই। সে লড়াই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে হোক অথবা বাণিজ্য। এক সময় ভারতকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চীনের দাদাগিরি দেখতে হতো, তবে এখন সেই দিন শেষ হয়ে গিয়েছে।
ভারত ও ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যে সকল এলাকার নিয়ে হামেশাই মতানৈক্য দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh)। অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলাকাকে চীন নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে থাকে এবং বিভিন্ন সময় এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার নাম তারা নিজেদের মতো রাখতে চায়।
কিন্তু এই সকল পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ভারত রীতিমতো কড়া জবাব দিচ্ছে তাদের। আর এসবের মধ্যেই ২ জুন রবিবার অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভার ফলাফল রীতিমতো রাতের ঘুম উড়িয়ে দিল চীনের। অরুণাচল বিধানসভার ৬০ টি আসনের মধ্যে ৪৬ টিতে জয় হাসিল করে গেরুয়া শিবির। আর এইভাবে তাদের নাকের ডগায় গেরুয়া সাইক্লোন রীতিমত চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বেজিংকে।
অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভার ফলাফলের দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, গত ১৯ এপ্রিল অরুণাচল প্রদেশের ৫০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। ৬০ টি আসনের মধ্যে ১০টিতে আগেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল। রবিবার ফলাফল প্রকাশের পর আরও ৩৪ টিতে জয়লাভ করে বিজেপি, অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেস জয়লাভ করে ১টিতে, বাকি অন্যান্যরা জয়লাভ করে ১৩ টিতে।
এখন অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জাগতে পারে, অরুণাচল প্রদেশে বিজেপি সরকার গঠন করলে চীনের কি এসে যায়? এনডিএ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার চিনের আগ্রাসন নীতির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। গত ১০ বছর ধরে চীনকে কোনভাবেই ভারতের মাটিতে জায়গা করতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে অরুণাচল প্রদেশের মতো সীমান্তবর্তী একটি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় ফেরা মানেই চীনের আগ্রাসন নীতিকে কড়া টক্কর দেওয়া। এই বিষয়টি হাড়ে হাড়ে বিভিন্ন সময় টের পেয়েছে।