নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথির পাশাপাশি আধার কার্ডের গুরুত্ব অনেক বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে প্যান কার্ড তৈরি করা, এমনকি বর্তমানে স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি হওয়া এবং পরীক্ষার ক্ষেত্রে আধার কার্ড বা নম্বর অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আধার কার্ড বা আধার নম্বর একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে মেয়াদ নিয়ে কোনরকম চিন্তা করতে হয় না। তাদের আধার নম্বরের মেয়াদ থাকে আজীবন। তবে তাহলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় কোন কোন ব্যক্তির আধার নম্বরের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে নিকটবর্তী আধার এনরোলমেন্ট সেন্টার অথবা আধার তৈরি হচ্ছে এমন জায়গায় গিয়ে বায়োমেট্রিক আপডেট করতে হয়।
অন্যদিকে বাচ্চাদের আধার নম্বরের মেয়াদ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। কারণ সরকারের নিয়ম অনুসারে পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য যে আধার তৈরি করা হয় সেই আধারের মেয়াদ ওই বাচ্চার পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বৈধ থাকে। তারপর ওই বাচ্চার বায়োমেট্রিক আপডেট করতে হয়।
একইভাবে ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বয়সের পর আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে গিয়ে আপডেট করাতে হয়। কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে আধার দেওয়া হয়ে থাকে তা হল বাল আধার, যা নীল রঙের হয়ে থাকে। সঠিক সময়ে এই আধার আপডেট করে নেওয়ার ফলে তা অন্যান্য সাধারণ আধারের মতো হয়ে যায়।
বর্তমান দিনে যেভাবে আধারের গুরুত্ব বাড়ছে সেই দিক দিয়ে নজর রেখে সঠিক সময়ে আধারের এই সকল আপডেট করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় কাজের ক্ষেত্রে হঠাৎ অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন গ্রাহকরা।