নিজস্ব প্রতিবেদন : নীল চাঁদ, এমন মহাজাগতিক দৃশ্যের দেখা মিলেছিল আজ থেকে ৭৬ বছর আগে। আর সেই ৭৬ বছর পর এবছর আবার এমন মহাজগতিক দৃশ্যের দেখা মিলতে চলেছে। অত্যন্ত বিরল এই নীল চাঁদের দৃশ্য মোটামুটি বিশ্বের প্রতিটি টাইম জোন থেকেই লক্ষ্য করা যাবে। তবে ৭৬ বছরের বদলে অনেকেই দাবি করেছেন ৩০ বছর আগেই এমন মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বিশ্বজুড়ে।
নীল চাঁদ আসলে কি?
নীল চাঁদ মানে এমনটা নয় যে চাঁদকে নীল দেখাবে। এর নামের মধ্যে রয়েছে রহস্য। অন্যান্য পূর্ণিমার রাতে যেমন চাঁদকে দেখা যায় ঠিক তেমনি দেখা যাবে সেদিনও। তবে এমন নামকরণের পিছনে রয়েছে যে কারণটা হলো যে মাসে দুটি পূর্ণিমা হয়ে থাকে সেই মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে ব্লু মুন বা নীল চাঁদ বলা হয়ে থাকে। আগামী অক্টোবর মাসে দুটি পূর্ণিমা রয়েছে। প্রথম পূর্ণিমা হলো মাসের শুরুর দিন এবং দ্বিতীয় পূর্ণিমা হলো ৩১ শে অক্টোবর। অর্থাৎ ৩১ শে অক্টোবর হলো ব্লু মুন বা নীল চাঁদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে এমন বিরল ঘটনা প্রতি ১৯ বছরের একবার হয়ে থাকে। তবে এবারের এই নীল চাঁদের দৃশ্যে রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। কারণ চলতি বছর এই মহাজাগতিক দৃশ্য নীল চাঁদ পৃথিবীর প্রতিটি কোণ থেকে দেখা যাবে। যা কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আর এরকম হয়নি।
ব্লু মুন বা নীল চাঁদ বিশ্বের প্রতিটি স্থান থেকে দেখতে পাওয়ার ঘটনা সত্যিই বিরল। এর আগে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছিল ১৯৪৪ সালে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে মনে রাখবেন চাঁদের রং কখনোই নীল হয় না। যেসব ছবিতে চাঁদের রং নীল দেখা যায় সেই সব ছবি আসলে ব্লু ফিল্টার ক্যামেরা দিয়ে তোলা।
এমন নামকরণের উৎপত্তি?
নীল চাঁদ নাম প্রথম দেওয়া হয়েছিল ১৯৪৬ সালে স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ পত্রিকায়। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর ১২টি পূর্ণিমা হয়ে থাকে। তবে যে বছর ব্লু মুন বা নীল চাঁদ হয়ে থাকে সে বছর ১৩ টি পূর্ণিমা হয়। যে কারণে এই বছর ১৩ টি পূর্ণিমা রয়েছে।