রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের পর দুবারজপুরে উদ্ধার তাজা বোমা

Laltu Mukherjee

Updated on:

Advertisements

লাল্টু : গত সোমবার বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বগটুই গ্রাম দেখেছে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ওই দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বোমার আঘাতে খুন হন বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ।

Advertisements

অভিযোগ, ঘটনার পরেই ভাদু শেখের অনুগামীরা সন্দেহবশত আক্রমণ করে মিহিলাল শেখ এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে। এই ঘটনায় রাতভর বোমাবাজি এবং অগ্নিকাণ্ডের পর সকালে জানা যায় ৮ জনের (সরকারি হিসাব) মৃত্যু হয়েছে এই প্রতিহিংসার ঘটনায়।

Advertisements

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরেই রামপুরহাট দেশের তাবড় তাবড় সংবাদ শিরোনামে চলে আসে। ঘটনার পর তড়িঘড়ি সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে এই মুহূর্তে এই ঘটনায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং সেই নির্দেশমতো সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisements

অন্যদিকে ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি জানান দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। এরই সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই পুলিশকে নির্দেশ দেন, জেলায় যত বেআইনি অস্ত্র রয়েছে তা তল্লাশি করে উদ্ধার করতে এবং বেআইনিভাবে মজুত রাখা বোমা উদ্ধার করতে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় চোখে পড়ার মতো। পরদিন মাড়গ্রাম থানার অন্তর্গত একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয় শতাধিক তাজা বোমা। এরপর আবার বোমা উদ্ধার মল্লারপুরে। অন্যদিকে বীরভূমের অধিকাংশ থানার তরফ থেকে তল্লাশি শুরু করা হয় মজুত বোমা উদ্ধারের জন্য। এই তল্লাশি চলাকালীন রবিবার দুবরাজপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হল ৩০টি তাজা বোমা।

বোমাগুলি রাখা ছিল দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত সেকেন্দারপুর গ্ৰামে একটি ফুটবল মাঠের পাশে। কুয়ো তৈরির জন্য যে সিমেন্টের গোলাকার বেড়া তৈরি করা হয়, তার মধ্যেই রাখা ছিল এই তাজা বোমাগুলি। একটি সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে তৈরি থলির মধ্যে এগুলি রাখা ছিল। পাশাপাশি ওই ব্যাগে ছিলো আরও তিন কিলো বারুদ। পুলিশ এসে এগুলি উদ্ধার করার পর বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয় এবং তারা এসে তা নিষ্ক্রিয় করে।

Advertisements