সিউড়িতে নার্সিংহোম লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়লো দুষ্কৃতীরা, আতঙ্ক এলাকায়

হিমাদ্রি মণ্ডল : বীরভূমের একাধিক এলাকায় বারংবার বোমাবাজির ঘটনা চোখে পড়তে দেখা গিয়েছে। তবে কোন নার্সিংহোমকে লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনা জেলার বুকে প্রথম বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই বোমাবাজির ঘটনা খোদ সিউড়ী শহরের মধ্যেই ঘটার কারণে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

জানা গিয়েছে, সিউড়ি শহরে বীরভূম সিনেমা হলের কাছে অবস্থিত একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের গেটকে লক্ষ্য করে পরপর দু’টি বোমা ছোঁড়া হয়। রবিবার রাতে দুই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে চেপে এই বোমাবাজি করতে করতে এলাকা ত্যাগ করেন। সম্পূর্ণ ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে CCTV ক্যামেরায়। যদিও সিসিটিভি ক্যামেরায় ওই ঘটনার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী হলেও দুষ্কৃতীদের এখনো পর্যন্ত চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। কারণ দুষ্কৃতীরা টুপি এবং মাস্ক পরে ছিলেন। পাশাপাশি যে মোটরবাইকে করে তারা এই হামলা চালিয়েছে সেই মোটরবাইকে নম্বর প্লেটে কোন নম্বর লেখা ছিল না।

ঘটনার পর স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ দেবাশীষ দেবাংশী জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গে এই অরাজকতার রাজনীতি দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত। নেহাত ঘটনার সময় ওই জায়গায় কোন রোগী অথবা তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না। তাছাড়া হয়তো দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে কারোর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারতো।”

এর পাশাপাশি ওই চিকিৎসক প্রশ্ন তুলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি এমন ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছে গেছে যে স্বাস্থ্য কেন্দ্র পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আমরা কি নিজেদের পরিষেবা প্রদান বন্ধ রেখে ঘরে বসে থাকবো? আর আমরা যদি ঘরে বসে থাকি তাহলে মানুষের কি হবে? আমি চাইবো এই দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করে এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছেন তাদের চিহ্নিত করতে। এরা তো ভাড়াটে গুন্ডা। কিন্তু যারা পরিকল্পনা করেছে, তাদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জাতীয় করা হয় তার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো।”

ঘটনার সাথে সাথেই বেসরকারি ওই নার্সিংহোমে তরফ থেকে সিউড়ি থানায় ঘটনাটি জানানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পুরো বিষয়টি তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে।