অমরনাথ দত্ত : ফের বিজেপি কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটলো বীরভূমে। ফিল্মি কায়দায় ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করে রাতের অন্ধকারে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ছোড়া হয় বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করে। বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, নিজেরা নোংরামি করে তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তোলা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকার ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের লাভপুরের দত্ত বগতর গ্রামে। বিজেপির সংখ্যালঘু মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা আজিজা খাতুনের বাড়ি লক্ষ্য করে এই বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। একটি দুটি বোমা নয়, ৩০-৪০ টি বোমা ছোড়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ, বুধবার রাতে ট্রান্সফরমারের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে বোমাবাজি করা হয়।
আজিজা খাতুন জানিয়েছেন, “আমাদের এলাকায় আমাদের সাথে কারো শত্রুতা নেই। কেবলমাত্র আমরা বিজেপি করি বলি তৃণমূলের তরফ থেকে এই বোমাবাজি করা হয়েছে। আমাকে এবং আমাদের পরিবারকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলার জন্য এই বোমাবাজি।”
অন্যদিকে বোমাবাজির ঘটনায় তাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও তৃণমূলের তরফ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে বোমাবাজি করেছে। আসলে এখন বিজেপির তরফ থেকে সিকিউরিটি দেওয়া হচ্ছে। আর সেই সিকিউরিটি পাওয়ার জন্যই এই নোংরামি করে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ করা হচ্ছে। তৃণমূল কেন বোমাবাজি করতে যাবে? নাটক করছে বিজেপি। বিজেপি হলো নাটক বাজি দল।”
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলার বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বীরভূম জেলা প্রশাসকে কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, “অবিলম্বে এই ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তদন্ত করে তাদের ধরতে হবে এবং যথোপযুক্ত সাজা দিতে হবে। আর যদি পুলিশ তা না পারে তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের হাতে ছেড়ে দিক।”
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা ওই এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই সংখ্যালঘু মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা আজিজা খাতুন তীরান্দাজিতে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত।