বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ রাজ্যে বহু জায়গা রয়েছে যে সকল জায়গায় নতুন নতুন রেললাইন তৈরির জন্য অনুমোদন মিলেছে। কিন্তু রেল অনুমোদন দিলেও জমিজট সহ বিভিন্ন কারণে সেই সকল রেললাইন তৈরীর কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে এসবের মধ্যে এবার ৫৭ কোটি টাকার একটি নতুন রেললাইন (New Railway Line) প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে বলেই জল্পনা শুরু হলো।
যে নতুন রেললাইন তৈরির কাজ শুরু হওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে সেই প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছিল ২০০৯ সালে। যে সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৭ কোটি টাকা ব্যয় নতুন ওই রেললাইন তৈরীর কাজের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তখন। তবে ২০১৯ সালে জমিজটের কারণে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
রেলের যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে সেই প্রকল্প হলো বাগদা থেকে বনগাঁ পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প। সীমান্ত এলাকার বনগাঁ স্টেশন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রেলের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। একইভাবে রানাঘাট লাইনেও প্রচুর মানুষের ভিড় দেখা যায়। আর রেল বহু আগেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল বনগাঁ স্টেশনের সঙ্গে বাগদাকে জুড়ে দেওয়ার। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হলেও জমি জোটের কারণে তা থমকে গিয়েছিল।
বাগদা ও বনগাঁর মধ্যে নতুন রেললাইন তৈরির যে প্রকল্প তা পুনরায় চালু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে জল্পনা শুরু হয়েছে তা মূলত রবিবার রেলের একটি প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে। রেলের আধিকারিকরা বনগাঁর খেদাপাড়ায় থাকা রেল ব্রিজ পরিদর্শনে আসেন। তাদের এমন পরিদর্শনের পরই মূলত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আশার আলো জাগতে শুরু করেছে নতুন করে এই রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়া নিয়ে।
রেলের তরফ থেকে এই রেললাইন প্রকল্পের কাজের বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে তাতে, প্রথম দফায় বনগাঁ থেকে চাঁদাবাজার পর্যন্ত ১১.৫ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় দফায় চাঁদাবাজার থেকে বাগদা পর্যন্ত ১৩.৮৬ কিলোমিটার রেল লাইন তৈরি হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রেলের তরফ থেকে এই প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করা হবে কিনা তা সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি। জমিজট না মিটলে অবশ্য এই কাজ শুরু করা রেলের পক্ষে সম্ভবও নয়।