Brahmos Missile : ব্রহ্মস এবার নৌসেনার হাতেও! কি হল জানলে কাঁপবে শত্রু দেশগুলি

Brahmos Missile ।। ভারতীয় বাহিনীর ক্ষমতা সম্পর্কে বর্তমানে গোটা বিশ্ব অবগত। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত বিগত কয়েক বছরে কয়েকগুণ বাড়িয়েছে নিজের সামরিক ক্ষমতা। স্থল, জল, আকাশ সব জায়গাতেই ভারত এখন শত্রুদের বুকে ভয় ধরাতে সক্ষম। তারপরেও ক্রমাগত নিজেদের ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে সামরিক বাহিনী। এবার নিজেদের ক্ষমতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে নিল ভারতীয় জল সেনা অর্থাৎ নৌ বাহিনী।

ভারতীয় নৌ সেনা এবার এমন একটি পদক্ষেপ করেছে, যাতে এবার দেশের জল সীমানার দিকে শত্রু দেশগুলি তাকাতে ভয় করবে। ভারতের জল সীমান্ত দিয়ে ঢুকে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে, তার চরম আসল দিতে হবে শত্রু দেশগুলিতে। একদিকে যখন চীন, অন্যদিকে পাকিস্তান ক্রমাগত চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের ওপর। সব ক্ষেত্রেই মু-তোর জবাব দিচ্ছে ভারত। এমতো অবস্থায় শত্রু দেশগুলির দিকে আরও এক ওভার বাউন্ডারি দিল ভারতীয় নৌ সেনা।

সাগরে ব্রহ্ম তেজ দেখাল ভারতীয় নৌ সেনা। হল সফল উৎক্ষেপণ। ভারতীয় নৌ সেনার অন্যতম অস্ত্র আইএনএস মোর্মুগাঁও থেকে ব্রহ্মস সুপারসনিক মিশাইলের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সম্প্রতি। নৌ সেনা সূত্রের খবর, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্রহ্মস মিসাইল আইএনএস মোর্মুগাঁও থেকে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাতে হেনেছে। ব্রহ্মসের এই সফল উৎক্ষেপণের পর নৌ সেনার অধিকারিকদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে আরও কয়েক গুণ।

রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। গতিবেগ ২.‌৮ ম্যাক। অর্থাৎ শব্দের থেকেও তিনগুণ দ্রুতগতিতে মিসাইলটি উড়তে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে ব্রহ্মস। যে কোনও টার্গেটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হামলা চালাতে পারে। ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথ্বী’র মতো ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতোই মারাত্মক এই ক্রুজ মিসাইল। একবার এই মিসাইল লঞ্চ করা হয়েছে গেলে শত্রুর পক্ষে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব।

সফল উৎক্ষেপণের পর নৌসেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জাহাজ এবং যুদ্ধাস্ত্র দু’টিই সম্পুর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি। মাঝসমুদ্রের এই সফল উৎক্ষেপণ আত্মনির্ভরতার প্রকৃত উদাহরণ। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ভারতীয় স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৪০০ কিলোমিটার করা হয়। এবার শত্রুদের বুকে ভয় ধরাতে ভয়ংকর সেই মারনাস্ত্র আসছে ভারতীয় নৌ সেনার হাতে।